ঢাকাFriday , 28 June 2024
  1. world cup cricket t20
  2. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  3. অ্যাথলেটিক
  4. আইপিএল
  5. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরচারি
  8. এশিয়া কাপ
  9. এশিয়ান গেমস
  10. এসএ গেমস
  11. কমন ওয়েলথ গেমস
  12. কাবাডি
  13. কুস্তি
  14. ক্রিকেট
  15. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

১০ বছরে ব্যাটসম্যানদের এত খারাপ অবস্থা দেখেননি তাসকিন

BDKL DESK
June 28, 2024 4:14 pm
Link Copied!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষে আজ শুক্রবার সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। এবারের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সূচনাটা ছিল আশা জাগানিয়া। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতে সুপার এইট-এ উঠেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। কিন্তু এ পর্বের তিনটি ম্যাচেই হেরে বিদায় ঘণ্টা বাজে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের।

পরিসংখ্যান বলছে, এটিই বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ। এ সংস্করণে এর আগে এক বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে কখনো তিনটি ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে দলের সাফল্য যতটুকু এসেছে, সেটা বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্যই। বিশ্বকাপজুড়েই ব্যাটসম্যানরা ছিলেন ছন্দহীন।

আজ দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হিসেবে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একই কথা বলেছেন তাসকিন আহমেদ। জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক বলেছেন, ১০ বছরে ব্যাটসম্যানদের এত খারাপ অবস্থা দেখেননি তিনি।

বিশ্বকাপে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানেরা। সাত ম্যাচ খেলে ১০০ এর বেশি রান করতে পেরেছেন মাত্র চারজন। সর্বোচ্চ ২৩.১৬ গড়ে ১৩৯ রান করেছেন লিটন দাস। ডানহাতি ও ওপেনারের স্ট্রাইকরেট ছিল ৯৩.২৮!

অন্তত ১০০ রান করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের কেবল দুজন ১০০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন। এরমধ্যে তাওহীদ হৃদয় সর্বোচ্চ ১২৮.৫৭ স্ট্রাইকরেটে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৩ রান করেছেন। সাকিব ১০৬.৭৩ স্ট্রাইকরেটে ১১১ রান করেছেন। এর মধ্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেই খেলেছেন ৪৬ বলে ৬৪ রানের ইনিংস। এ থেকেই বাকি ম্যাচগুলোর অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

অধিনায়ক শান্ত ৯৫ স্ট্রাইকরেটে ১১২ রান করলেও সুপার এইটের দুই ম্যাচেই করেছেন ৮১ রান। বাকি পাঁচ ম্যাচে মোটে ৩১ রান! আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৫.৮৩ গড় ও ৯৪.০৫ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৯৫ রান। ওপেনিংয়ে নামা তানজিদ হাসান তামিমের পাশে ১০.৮৫ গড় ও ৯৬.২০ স্ট্রাইকরেটে ৭৬ রান। সৌম্য সরকার ২ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেছেন ১০ রান।

ব্যাটসম্যানদের দীর্ঘ রান খরার বিষয়টি উঠে এসেছে তাসকিন আহমেদের কথাতেও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাসকিন বলেছেন, ‘আর ব্যাটিং, বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কম ছিল। আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্য দেশের বড় বড় ব্যাটসম্যানকেও সেখানে ধুঁকতে হয়েছে। সেখানে বোলারদের একটু বাড়তি সুবিধা ছিল।’

যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য কিছুটা সহায়ক ছিল। কিন্তু সেখানেও রান পাননি শান্ত-লিটনরা। এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা ভালো উইকেটে খেলেছি। কিন্তু আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার সময়, লাস্ট ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনোই এত লম্বা ব্যাডপ্যাচ দেখিনি। আশা করি এটা কাটিয়ে উঠবে।’

সাকিব-মাহমুদউল্লাহর অফফর্ম নিয়ে জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক বলেছেন, ‘দুজন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত সামনে এসব কাটিয়ে উঠব।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।