গর্জনের আলেক্সান্ডার স্টেডিয়ামে হঠাৎই নীরবতা। ৩০ হাজার দর্শকের চোখ তখন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের দিকে। ২২ সেকেন্ডের জন্য চুপসে যাওয়া গ্যালারিতে এরপর শুধুই উন্মাদনা। ‘থম্পসন, থম্পসন’ স্লোগানে অন্যরকম আবহের সৃষ্টি হয়।
শনিবার কমনওয়েলথ গেমসে মেয়েদের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে শুধু স্বর্ণই জেতেননি জ্যামাইকান স্প্রিন্টার এলিয়েন থম্পসন-হেরাথ, ২২ দশমিক ০২ সেকেন্ড সময় নিয়ে গড়লেন গেমসের নতুন রেকর্ড। বার্মিংহামের ঐতিহ্যবাহী এ স্টেডিয়ামের সন্ধ্যাটা আলোয় আলোয় আলোকিত করে দিলেন ৩০ বছর বয়সী তারকা। তাঁর রঙিন রাতটি পুরো জ্যামাইকানদের জন্য ছিল উৎসবের। কারণ এদিন যে ছিল দেশটির স্বাধীনতা দিবস। ঐতিহাসিক দিনটি থম্পসনের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকল ২০০ মিটারে সেরা হয়ে।
তিনি ট্র্যাকে নামলেই গড়েন নতুন নতুন কীর্তি। জ্যামাইকান প্রথম নারী স্প্রিন্টার হিসেবে ডাবল জয়ের ইতিহাস গড়েছিলেন অলিম্পিকে। ১০০ ও ২০০ মিটার জয়ের নতুন কাব্য এবার কমনওয়েলথ গেমসে লিখেছেন থম্পসন। দৌড় শেষ করার পর স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়েই বাঁধনহারা উদযাপনে মেতে ওঠেন তিনি। দেশের পতাকা হাতে নিয়ে শূন্যে ভাসছেন।
গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের সঙ্গে ‘হাই ফাইভ’ করা থম্পসনের কথাতেও ফুটে উঠেছে কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি, ‘আমি বার্মিংহামে এসেছিলাম ১০০ মিটারে রেকর্ড গড়তে; কিন্তু সেটা পারিনি। তখনই মনে মনে পণ করেছিলাম যে, ২০০ মিটারে কিছু একটা করতে হবে। স্বর্ণ জেতার পর এখন আমি বলতে পারি যে, দিনটি আমার জন্য ঐতিহাসিক। শুধু তাই নয়, আজকের (শনিবার) দিনটি আমরা স্বাধীনতা দিবসের (জ্যামাইকান) উদযাপন করি।’
যাদের পেছনে ফেলে থম্পসন সেরা হয়েছেন, সেই ফ্যাবার অফিলি ও ক্রিশ্চিয়ান এমবোমা বয়সে তাঁর চেয়ে ১১ বছরের ছোট। দু’জনই যথাক্রমে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ জিতেছেন। অনেকেই মনে করছেন, থম্পসনের অভিজ্ঞতার কাছে হেরেছেন তাঁরা। ‘যখন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে আমি খারাপ করেছিলাম, তখন কিন্তু ভেঙে পড়িনি। কারণ আমি জানি, সামনে আরও দৌড়ানোর সুযোগ আছে। আমি কখনও হাল ছেড়ে দিই না।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।