চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে আগেই নিজেদের ইউরোপের সেরা দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। বাকি ছিল চক্রপূরণ। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা ক্লাব পর্যায়ে তিনটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে থাকে। সেখানের শীর্ষ দুই প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপা লিগ জয়ীদের বিশেষ এক ম্যাচ উয়েফা সুপার কাপ। সেরাদের সেরা হবার এই লড়াইটাও এবার জিতলো ম্যানসিটি।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা ম্যানসিটি এদিন মুখোমুখি হয়েছিল ইউরোপা লিগ জেতা সেভিয়ার। দুই সেরার লড়াইটা হলো জমাট। গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকার পর্যন্ত। উয়েফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৯০ মিনিট শেষেই হয়েছিল টাইব্রেকার। তাতে ৫-৪ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে সিটিজেনরা।
এই ম্যাচে অনন্য এক রেকর্ড গড়া হয়ে যায় কোচ পেপ গার্দিওলার। কার্লো অ্যানচেলত্তির পর দ্বিতীয় কোচ হিসেবে ৪ বার উয়েফা সুপার কাপ জিতলেন এই স্প্যানিশ কোচ। তবে গার্দিওলা জিতেছেন ৩টি ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে।
তবে ম্যাচটা গার্দিওলা খুব সহজে জিতেছেন এমন বলার অবকাশ নেই। ইকাই গুন্দোয়ানের বার্সায় চলে যাওয়া, কেভিন ডি ব্রুইনার হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি সিটিকে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে রেখেছিল। মাতেও কোভাচিচ, রদ্রি আর কোল পালমারদের রসায়ন এখনও জমেনি বলে শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্রিসের দাবানল পরবর্তী গরম। ম্যাচের ২৫ মিনিটে বিরতিও দেওয়া হয়েছিল।
সেই বিরতিই হয়ত কাজে দিয়েছে প্রতিপক্ষ সেভিয়ার জন্য। কুলিং ব্রেকের পরেই এগিয়ে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোর লম্বা থ্রো থেকে বল পেয়েই মার্কাস আকুনাকে পাস দেন ওকাম্পোস। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা আকুনা এরপর দিয়েছেন দারুণ এক ক্রস। লাফিয়ে উঠে বল জালে জড়ান ইউসুফ এল নাসেরি (১-০)।
বিরতির আগে আর তেমন সুযোগই পায়নি সিটিজেন্সরা। তবে বিরতির পরেই অবশ্য দেখা গেল ভিন্ন চেহারার এক সিটিকে। সেই ম্যানসিটি খেলেছে ভয়ানক এক ফুটবল। তাদের অতি আক্রমণাত্মক ধারার কারণেই কিনা সহজ কাউন্টার অ্যাটাকের সুযোগ পেয়ে যায় সেভিয়া। তাতে অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি। আগেরবার গোল করলেও এবার মিস করে বসেন এল নাসেরি।
৬৩ মিনিটে এর বদলাও নিয়ে ফেলে সিটি। কোল পালমারের গোলের সুবাদে ম্যাচে সমতায় ফেরে ইংলিশ ক্লাবটি। ডানপ্রান্ত থেকে রদ্রির দেয়া নিখুঁত ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান এই ইংলিশ মিডফিল্ডার (১-১)। এফএ কমিউনিটি শিল্ডের পর আরও একটি ফাইনালে করলেন সিটির মান বাঁচানোর গোল।
শেষ পর্যন্ত ৯০ মিনিটে ফলাফল ছিল সমতায়। উয়েফার নতুন নিয়মে যেখান থেকে হয়েছে পেনাল্টি। প্রথম নয় শটে গোল পেয়েছেন সকলেই। সিটির হয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন আর্লিং হলান্ড, জুলিয়ান আলভারেজ, মাতেও কোভাচিচ, জ্যাক গ্রিলিশ আর কাইল ওয়াকার। বিপরীতে সেভিয়ার ওকাম্পোস, রাফা মির, রাকিতিচ এবং মন্তিয়েল গোল করলেও মিস করেন নেমানিয়া গুলেদি। আর তাতেই ইউরোপসেরার চক্রপূরণ করলো ম্যানচেস্টার সিটি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।