দুই ম্যাচের সিরিজ প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে সাবিনা-সানজিদারা।
ম্যাচের ৩ মিনিটেই লিড নেয় বাংলাদেশ। গোল করে দলকে এগিয়ে নেন আফিদা খন্দকার। লিড নিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় বাংলার মেয়েরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। এবার গোল করে ব্যবধান বাড়ান তহুরা। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
সাবিনারা চলতি বছর এখন পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে তাদের কোনো জয় নেই। জুলাইয়ে কমলাপুর স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এশিয়ান গেমসের তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে হার এবং একটি ড্র দিয়ে শেষ হয়। অবশেষে বছরের ষষ্ঠ ম্যাচে এসে জয় পেল সাবিনার দল।
আজকের ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ছিল বাংলাদেশ। প্রথমার্ধেই দুই গোলের লিড নেয় বাংলাদেশ। তৃতীয় মিনিটে সাবিনা সংক্ষিপ্ত কর্ণার কিক নেন। কয়েক গজ সামনে এগিয়ে সাবিনা চিপ শটে বল বক্সের মধ্যে পাঠান। সেখান থেকে আফিদা খন্দকার হেড দিলে বল গোললাইন অতিক্রম করে। গোললাইন অতিক্রম করলেও বল ড্রপ খেয়ে আবার বক্সের সামনে বেরিয়ে আসে। ফলে দ্বিতীয় চেষ্টায় বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড হেড দিলে পোস্টের উপর দিয়ে বল চলে যায়, তবে আফ্রিদার দেওয়া হেডেই রেফারি গোলের বাঁশি বাজান।
১৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। মিডফিল্ড থেকে মারিয়া মান্ডা বল নিয়ে বক্সে প্রবেশ করছিলেন। গোলের পরিস্থিতি তৈরি করে মারিয়া। তহুরা মারিয়ার কাছ থেকে বল নিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। দশ মিনিট পর অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের শট পোস্টের একটু উপর দিয়ে। প্রথমার্ধের বাকি সময় বাংলাদেশের আধিপত্যই ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশকে জয়ের ব্যবধান বাড়ান তহুরা খাতুন। ৬০ মিনিটে বক্সের মধ্যে একটি সুন্দর বল পান এই ফরোয়ার্ড। বুদ্ধিদীপ্তভাবে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে গোল করেন তহুরা। ম্যাচের বাকি সময় বাংলাদেশ গোল বাড়ানোর চেষ্টা করেছে আর সিঙ্গাপুর নিজেদের অর্ধেই বেশি সময় কাটিয়েছে।
সিঙ্গাপুর র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে পিছিয়ে ছিল। বল পজেশন, আক্রমণ সব কিছুতেই বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল। সিঙ্গাপুর ২০১৭ বাংলাদেশকে হারিয়েছিল। ছয় বছর পর বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে সেই মধুর প্রতিশোধও নিল।
গোলাম রব্বানী ছোটন, পল স্মলির বিদায়ের পর নেপাল সিরিজে ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে ছিলেন মাহবুবুর রহমান লিটু। এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দায়িত্ব নেন সাইফুল বারী টিটু। পরবর্তীতে তার চুক্তির মেয়াদ আরো বাড়ায় তিনি সিঙ্গাপুর সিরিজে কোচিং করাচ্ছেন। ছোটন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রথম জয় এবং টিটুরও নারী দলের কোচ হিসেবে প্রথম জয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।