হেড কোচ হাভিয়ের কাবরের পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও তার কৌশলের ভুলের কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছে না বাংলাদেশ ফুটবল দল। এমনটাই মনে করেন দেশের সাবেক ফুটবলাররা। দিনের পর দিন ফুটবলের উন্নতির কথা বলে নিজের বেতন বাড়ালেও ভালো ফলাফল এনে দিতে পারছেন না এই স্প্যানিশ কোচ। দল গঠনেও স্বেচ্ছাচারিতা দেখানোর অভিযোগ উঠেছে কাবরেরার বিরুদ্ধে।
দেশের বাহিরে কন্ডিশনিং ক্যাম্প ও প্রস্তুতি ম্যাচ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে যাই চেয়েছেন তাই পেয়েছেন কোচ কাবরেরা। বিনিমিয়ে তার থেকে ভালো ফলাফলের প্রত্যাশা করেছে ফেডারেশন। তবে সেখানেই ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছেন স্প্যানিশ কোচ।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলের লজ্জার হারের পর ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানের বড় হার। যেই কিংস অ্যারেনায় অপরাজিত ছিল বাংলাদেশ সেখানেও শেষ মুহূর্তের গোলে কপাল পুঁড়ে জামালদের। অথচ সব ম্যাচের আগে পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন হেড কোচ কাবরেরা। তার অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলেই এই ভরাডুবি বলে মনে করেন দেশের সাবেক ফুটবলাররা।
সাবেক ফুটবলার আলফাজ হোসেন বলেন, ‘কুয়েতে খেলা হয়েছে ফিলিস্তিনের সঙ্গে, আমার মনে হয়েছে কোচ সেখানে ভুল করেছে। খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও কোচ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে। এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালে ফলাফল এমন খারাপ হবেই।
আরেক সাবেক ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু বলেন, ‘বিশ্বনাথকে কোনোভাবেই স্টপারে আনা উচিত হয়নি। কারণ বিশ্বনাথ পরীক্ষিত রাইটব্যাক। তারিক গাজীর জায়গায় আরও দুই-চার জন খেলোয়াড় আছে। তাদেরকে খেলানো উচিত। যদি সুযোগ না দেই, তাহলে কেন তাদেরকে স্কোয়াডে রেখেছি, তাদেরকে তো নেয়ার দরকার ছিল না।’
কাবরেরার অধীনে শেষ ৪ ম্যাচে শুধু লেবাননের বিপক্ষে ড্রয়ই বাংলাদেশের একমাত্র অর্জন। অথচ দেশের ফুটবলের উন্নতির কথা বলে একধাপে মোটা অঙ্কের বেতন বাড়িয়েছেন তিনি। বাফুফের সঙ্গে করা নতুন চুক্তিতে কাবরেরা বেতন ৯ হাজার ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার ডলার। তবে সেই অনুপাতে কি দলকে সাফল্য এনে দিতে পেরেছেন কাবরেরা? তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেকরা।
আলফাজ বলেন, ‘কাবরেরার একটা সাক্ষাতকারে দেখেছি, জিকো তিন নম্বর গোলরক্ষক। এতদিন জিকো বাংলাদেশকে সার্ভিস দিয়েছে। সে ভালোই সার্ভিস দিচ্ছিল। যে কারণেই হোক, তার একটা ভালো অভিজ্ঞতা ছিল, অনেকগুলো ম্যাচ খেলার। অন্য দুই গোলরক্ষকের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার। তিন নম্বর গোলরক্ষক হলে কি সে খেলতে পারবে না! এটা কোচের ভুল ধারণা আমি মনে করি। তিন নম্বর গোলরক্ষককেও অনেক সময় খেলানো যায়।’
চুন্নু বলেন, ‘এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বলি। আমি মনে করি, গোলরক্ষক জিকো একটা ভুল করেছে, সে কিন্তু ফেডারেশন থেকেও সাজা পেয়েছে, ক্লাব থেকেও সাজা পেয়েছে। সাজা পেয়েছে কিন্তু তারপরও কেন খেলানো হলো না, এটা আমার বড় প্রশ্ন কাবরেরার কাছে।’
হাভিয়ের কাবরেরার পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তুষ্ট বাফুফে সভাপতি। সামনে অস্ট্রেলিয়া ও লেবাননের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের কঠিন ম্যাচ। চলতি বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত তার চুক্তি থাকলেও এই ম্যাচ দুটির ফলাফলের উপর নির্ভর করছে তার ভবিষ্যৎ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।