ম্যাচে তার দলের লক্ষ্য ছিল ২১২। ওভার পিছু যা ছিল ১০.৬। সেখানে ইনিংস ওপেন করতে নামা সৈকত আলী দুই অংকে পৌঁছালেন ২০ বল খেলে। যেখানে দেড়শো স্ট্রাইক রেটে খেলা দরকার ছিল, সেখানে ওপেনার সৈকত আলীর পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৫০ স্ট্রাইকরেটে ডাবল ফিগারে পা রাখাই বলে দেয়, অ্যাপ্রোচ কতটা রক্ষণাত্মক আর নেতিবাচক ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।
যদিও শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৬৩ রান করেছেন সৈকত, তারপরও সেটা দলের কোনো কাজে আসেনি। শুভাগত হোমের দল হেরেছে ৫৩ রানের ব্যবধানে।
এমন স্লো ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ কেন? খেলা শেষে প্রেস মিটে এসে এ প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন সৈকত আলী। যেন স্বীকারই করে নিলেন, রান বেশি হওয়ায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা। সৈকত বলেন, ‘রানটা আসলে দু’শয়ের উপরে মিরপুরের জন্য একটু টাফ।’
তবে তাদের বিরুদ্ধে এত রান হওয়ার জন্য নিজ দলের বোলারদের দুষতে নারাজ সৈকত আলী, ‘আমাদের বোলাররা দেখেন পুরো টুর্নামেন্টে খুবই ভালো বোলিং করেছেন। আমরা পাঁচটা ম্যাচ জিতেছি। এরমাঝে প্রথমটি বাদে বাকি সবগুলো বলতে গেলে বোলাররাই জিতিয়েছে। ফলে একটা দিন হতে পারে আমরা সেভাবে ভালো বোলিং করতে পারিনি। কিন্তু উইকেটটাও ভালো ছিল। ’
ইনিংস ওপেন করতে নেমে তার স্লো খেলার কারণ ব্যাখ্যা করে সৈকত বলতে চাইলেন, শুরুতে দুই বিদেশি জস ও টমের আউট হয়ে যাওয়া এবং রংপুরের ২ স্পিনার সাকিব ও শেখ মেহেদির মাপা বোলিংয়ের কারণেই তিনি রয়ে সয়ে খেলার চেষ্টা করেছেন।
সৈকতের কথা, ‘আমি আজ প্রথমবার ওপেন করলাম। জাস্ট একটা মোমেন্টাম খুঁজছিলাম। আর ওই সময় সাকিব ভাই এবং মেহেদি খুব ভালো বোলিং করেছে প্রথম ছয় ওভার। আমাদের যখন জশ এবং টম দুজন যখন আউট হয়ে যায় তখন চেষ্টা করেছি অযথা উইকেট ছুড়ে না আসতে। চেষ্টা করেছি মোমেন্টাম খুঁজতে। যখন ইমরান ভাইকে (ইমরান তাহির) ছক্কা হাঁকালাম, তখন আমি ভাবলাম যে আমি মোমেন্টাম পেয়ে গেছি। তখন চেষ্টা করেছি। শুরুর দিকেও চেষ্টা করেছি। কিন্তু সাকিব ভাই এবং মেহেদি খুব ভালো বোলিং করেছে, সবাই ভালো বোলিং করেছে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।