ঢাকা পর্বে দুই ম্যাচের দুটিতেই জয়। ধারণা করা হয়েছিল, সিলেটে ভাঙতে পারে এই ছন্দ। কারণ, প্রতিপক্ষ যে তারকায় ঠাঁসা রংপুর রাইডার্স। কিন্তু না, রংপুরের আশা ভেস্তে দিয়ে নিজেদের ছন্দ ধরে রাখলে খুলনা টাইগার্স। সাকিবদের গুঁড়িয়ে দিয়ে সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচেই দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল।
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আজ শুক্রবার রংপুরকে ২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে খুলনা। এই নিয়ে টানা তিন জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখল টাইগার্সরা। অন্যদিকে চার ম্যাচ খেলা রংপুর দেখল দ্বিতীয় হারের মুখ।
ব্যাট হাতে আগেই কাজটা করে রেখেছিল খুলনা। দারুণ ব্যাটিংয়ে রংপুরকে দিয়েছিল ১৬১ রানের লক্ষ্য। যা তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ১৮.৪ ওভারে ১৩২ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল রংপুর। দলীয় ৬ রানেই হারায় ওপেনিংয়ের বড় নাম বাবর আজমকে। টেকেননি ব্রেন্ডন কিংও। ১৫ রানে করে সাজঘরের পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার।
একের পর উইকেট হারানোর মাঝে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন শামীম হোসেন। ৩০ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নবী। লোয়ার অর্ডারে নেমে সাকিবও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ৪ বলে ২ রান করে তিনিও ফেরেন। একে একে উইকেট হারানোর মিছিলে জয়ের নাগাল পায়নি রংপুর।
এর আগে অবশ্য খুলনার ইনিংসের শুরুটাও হয়েছিল চরম হতাশার। একে একে বিদায় নিলেন তিন টপ অর্ডার। এরপর দাসুন শানাকা ও মোহাম্মদ নেওয়াজ মিলে পথ দেখান খুলনা টাইগার্সকে। এই জুটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৬০ রান তোলে খুলনা টাইগার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেছেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। ৩৪ বলে তার ইনিংস সাজানো ৫ বাউন্ডারি আর তিন ছক্কায়।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে খুলনা। রানের খাতা খোলার আগে হারায় অধিনায়ক এনামুল হককে। দলীয় ২ রানে তার বিদায়ের পর এভিন লুইস ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে প্রতিরোধের আশা জাগায় খুলনা।
দলীয় ৩৯ রানের মাথায় সেই আশাও ভেস্তে যায়। জয়কে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মেহেদি হাসান। মিডল অর্ডারে নেমে আফিফ হোসেনও হাল ধরতে পারেননি। ৪ রানে তাকে নিজের শিকার বানান হাসান মাহমুদ। তার পরের শিকার ওপেনিংয়ে থিতু হওয়া লুইস। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩৭ রান করেন লুইস।
টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার মাঝে লোয়ার অর্ডারে দারুণ লড়াই করেন দাসুন শানাকা ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। দুজন মিলে ৫৩ বলে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। এই জুটিতেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় খুলনা টাইগার্স।
৩৩ বলে ৪০ রান করার পর শানাকাকেও ফেরান হাসান মাহমুদ। তার সঙ্গে থাকা নেওয়াজ শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি।
বল হাতে নিজের কোটার ৪ ওভার বোলিং করে ২৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ২০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মেহেদি হাসান। ৩৬ রান দিয়ে রিপন মন্ডল নেন একটি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।