টানা দুটি বড় রানের ম্যাচ হয়ে গেল মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। যদিও রানতাড়ায় ব্যাট করা দলগুলো সেভাবে লড়াই উপহার দিতে পারেনি। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়েছেন দুর্দান্ত ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। একমাত্র অ্যালেক্স রস কিছুটা লড়াই করেছেন। তার ফিফটি বাদে সেভাবে ঢাকাকে কেউ পথ দেখাতে পারেননি। ফলে বরিশালের কাছে তারা ৪০ রানে হেরেছে। চলতি বিপিএলে যা তাদের টানা অষ্টম হার।
প্রথম তিন ওভারেই তিন টপ-অর্ডারকে হারিয়ে ধুঁকছিল ফরচুন বরিশাল। সেখান থেকে বড় পুঁজি পাওয়া ছিল তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেই কঠিন কাজটা দারুণভাবে সম্পন্ন করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। দুজনেই ঝোড়ো ফিফটি পেয়েছেন। শেষদিকে শোয়েব মালিকও তাণ্ডব চালিয়েছেন, যার বদৌলতে নির্ধারিত ওভার শেষে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৪ উইকেটে ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে বরিশাল।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আজ (শনিবার) দিনের প্রথম ম্যাচে আসরের সর্বোচ্চ রানের স্কোর উঠেছিল। চলতি বিপিএলের প্রথম দুইশ দেখেছিল দেশের ক্রিকেটভক্তরা। যদিও রংপুর রাইডার্সের লক্ষ্য তাড়ায় সেভাবে লড়াই দেখাতে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এবার দিনের অপর ম্যাচেও বড় স্কোরই গড়েছে তামিম ইকবালের বরিশাল।
এর আগে তাসকিন আহমেদের ঢাকার বিপক্ষে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তামিম। বরিশাল অধিনায়ক নিজেই শুরুটা করেন বাজেভাবে। দ্বিতীয় ওভারেই শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে তিনি দলকে ভালো শুরু এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। মাত্র একটি চারের বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আউট তামিম। এরপর আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ঢাকার অধিনায়ক তাসকিনের বলে তিনি ক্যাচ আউট হন ১০ রানে।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো বরিশালের শুরুর ধাক্কা সামলানোর দায়িত্ব ছিল তিনে নামা মুশফিকুর রহিমের ওপর। নিজের দ্বিতীয় বলে তিনি তাসকিনের ইয়র্কার ডেলিভারি দারুণভাবে সামলান, তবে পরের বলেই খেয়েছেন হোঁচট। অফ লেংথে ফেলা বলটি খেলবেন কি না সেই দ্বিধার মধ্যে ব্যাট চালিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে ১ রানেই বোল্ড। এমন গর্তে পড়া অবস্থা থেকে বরিশালকে টেনে তুলেছেন রিয়াদ ও সৌম্য। প্রথম ৩ ওভারে ১৯ রান তোলা দলটি, পরের তিন ওভারে তোলে ২৭ রান।
পরবর্তীতে সময় যতই গড়ায় সৌম্য-রিয়াদ রানের চাকা তত বাড়িয়ে নেন ঝোড়ো গতিতে। দুজনের জুটিতে বরিশাল পেয়ে যায় ১৩৯ রানের শক্ত ভিত। ৪৭ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৩ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর আর উইকেট হারায়নি বরিশাল। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন সৌম্য ও শোয়েব মালিক। শেষ তিন ওভারে তারা ৩১ রান যোগ করেন। সৌম্য ৪৮ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। দুটি চার ও এক ছক্কায় ১০ বলে ১৯ রান করেন শোয়েব।
ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দলের প্রধান দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।