দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে ক্রিকেটের মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন না তিনি। রাজনীতিতে নামলেও এখনই খেলা ছেড়ে দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই টাইগার অধিনায়কের। ইনজুরির জন্য দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড যেতে না পারলেও ব্যস্ততায় কাটছে সাকিবের সময়। নির্বাচণী প্রচারণায় সরব হয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজন করছে ভার্চুয়াল টক শো ‘বিসিএল আড্ডা’র। যে আয়োজনে এর আগে যুক্ত হয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বিসিএল আড্ডায় মাশরাফীর পর হাজির সাকিব আল হাসানও।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে আড্ডায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। সদ্য রাজনীতিতে নাম লেখানো বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পোস্টার বয় তার ব্যক্তিজীবন, রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার পাশাপাশি কথা বলেছেন ক্রিকেট নিয়েও।
ক্যারিয়ার সায়াহ্নে থাকা ৩৬ বছর বয়সী সাকিব আরও কিছুদিন ক্রিকেটটা চালিয়ে নিতে চান। আর বিশ্বকাপের আগে জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পর আর একদিনও অধিনায়কত্ব করতে চান না। ভার্চুয়াল আড্ডায় এদিন ফের উঠেছিল এ প্রশ্ন। যার জবাবে সাকিব জানান, সময়ই বলে দেবে সবকিছু।
এরপর তিনি বলেন, ‘আর যে কয়দিন খেলব সে কয়দিন ফ্রি থেকে খেলার ইচ্ছা। রেসপনসিবিলিটি তো অনেক নিয়েছি। এখন লাস্ট কিছুদিন একটু এনজয় করতে চাই। বাট এটা সময়ই বলে দেবে। যেহেতু বাংলাদেশ দলের একটা সিরিজ চলছে। দলকেও শুভকামনা। যেহেতু কালকে তাদের প্রথম ম্যাচ। আশা করি ভালো করবে, জিতবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই সিরিজের পর আমাদের ইলেকশনটাও শেষ হবে। এরপর বিপিএল হবে, তারপর আমাদের ইন্টারন্যাশনাল খেলা। স্বাভাবিকভাবেই বেশ অনেকটা সময় আছে। আমি শিওর নির্বাচন শেষ হলে আমরা সবাই বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব, কীভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। সবাই মিলে চিন্তা করে যেটা ভালো মনে হয়, আমরা সেটাই করব। সেটায় যদি মনে হয় আমার আরও কিছুদিন কন্টিনিউ করা উচিত, তাহলে সেটাই। আর যদি মনে হয়, এখন যেমন শান্ত করছে, লিটন আছে, মিরাজ আছে, আরও দুই-চারজন আছে, যাদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে ভালো কিছু করার। ওরা আরও বেশি ইয়ং, এনার্জেটিক। খারাপ হওয়ার কোনো পোষণ আমি দেখি না।’
এরপর বাকিটা অবশ্য বোর্ডের ওপরেই ছেড়ে দিলেন সাকিব, ‘তারপরেও যদি অধিনায়কত্ব করতে নিয়ে কথা আসে তাহলে বোর্ডের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। আর কখনো বোর্ড সভাপতি হলে অনেক কিছু পরিবর্তন করার আছে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।