দুই যুগ পর আইসিসির কোনো ইভেন্টে পাকিস্তানকে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের দেওয়া ২৭১ রানের লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটে জিতেছে প্রোটিয়ারা।
২৭১ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করলেও দলীয় ৩৪ রানে ডি কককে(২৪) হারায় প্রোটিয়ারা। ২৮ রান করে ফেরেন বাভুমা। এরপর ডুসেনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়েন মার্করাম। দলীয় ১২১ রানে ডুসেনের(২১) বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ক্লাসেনও টিকতে পারেননি, ১২ রানেই ফেরেন সাজঘরে। এরপর মিলার-মার্করাম মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। ২৯ রান করে মিলার আউট হন। এরপর ২৫ রানের ব্যবধানে প্রোটিয়ারা হারায় ৪ উইকেট। জানসেন ২০, কোয়েটজে ১০ ও এনগিডি করেন ৪ রান। দলের সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন মার্করাম। মহারাজ ৭ ও শামসি অপরাজিত থাকেন ৪ রানে।
চেন্নাইর এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় ৩৮ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারায় তারা। ১৭ বলে ৯ রান করেন শফিক। অন্যদিকে ইমাম খেলেন ১৮ বলে ১২ রানের ইনিংস। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন অধিনায়ক বাবর আজম। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৮ রান। ২৭ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ৮৬ রানের মাথায় বিদায় নেন রিজওয়ান। ইফতিখার ৩১ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান।
এক প্রান্তে আগলে রেখে দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন বাবর। তবে এরপরেই সাজঘরে ফিরে যান বাবর। দলীয় ১৪১ রানে ৬৫ বলে ৫০ রান করেন তিনি। এরপর শাদাব খান ও সৌদ শাকিল মিলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ২২৫ রানে ৩৬ বলে ৪৩ রান করে আউট হন শাদাব। সৌদ ৫২ বল খেলে করেন ৫২ রান। শেষ পর্যন্ত ২৭০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। একাদশে ফিরেই শামসি ৪ উইকেট শিকার করেন। জানসেন নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া কোয়েটজে ২টি ও এনগিডি ১টি উইকেট পান।
পাকিস্তানের একাদশ: ইমাম উল, আব্দুল্লাহ শফিক, বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সৌদ শাকিল, শাদাব খান, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাহিন আফ্রিদি, ওয়াসিম জুনিয়র ও হ্যারিস রউফ।
দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশ: কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, রেসি ফন ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হেনরিক ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো জানসেন, গেরাল্ড কোয়েটজে, রিয়াদ মহারাজ, তাবরেজ শামসি, লুঙ্গি এনগিডি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।