হাতে ছিল ৭ উইকেট। ২০তম ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। এর মধ্যে নো বল ও বৈধ বল মিলিয়ে এক বলেই ৫ রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। পরক্ষণে বল হাতে জাদু দেখান জান্নাতুল মাওয়া। শেষ বলে দরকার পড়ে ২ রান। কিন্তু টাইগ্রেস বোলারের তোপে সহজ কাজটাই করতে পারেনি লঙ্কানরা। তাতে রুদ্ধশ্বাস এক জয়ে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
কক্সবাজারে রোববার (২৮ জানুয়ারি) টাইগ্রেসদের দেয়া ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানে থেমেছে লঙ্কান নারীরা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল লঙ্কান ব্যাটাররা। দলীয় ৫৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করে রাবেয়ার শিকার বিহঙ্গ ভিজেরত্নে। এক ওভার পর আরেক ওপেনার পুর্না সেনারত্নেকে ফেরান আনিশা আক্তার সোবা। ৩৭ বলে ২৭ রান করেন তিনি। কিন্তু তখনো লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি টাইগ্রেসরা।
তৃতীয় উইকেটে হাল ধরে দলকে জয়ের পথে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বিশ্মী গুনারত্নে ও মানুদি দুলানসা। দুজন মিলে দলকে পৌঁছে দেন শতরানের কাছে। দলীয় ৯৫ রানে ব্যক্তিগত ১৩ রানের ইনিংসে বিদায় নেন মানুদি। জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল ১৫ বলে ২০ রান। পরবর্তী ৯ বলে রাশ্মী নেতরঞ্জলী ও বিশ্মী মিলে তুলেন ১১ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৯ রানের।
আক্রমণে এসে শুরুতেই নো বল দেন মাওয়া। এ বলে আরও ২ রান তুলে নেয় লঙ্কানরা। সবমিলিয়ে আসে ৩ রান। ফ্রি হিট বল থেকে ২ রান নেয় লঙ্কানরা। তাতে বৈধ এক বলে ৫ রান খরচ করে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর বল হাতে জাদু দেখান মাওয়া। পরবর্তী চার বলে ২ রান দিয়ে বিশ্মীকে সাজঘরে পাঠান টাইগ্রেস বোলার। ২৯ বলে ২৬ রান আসে লঙ্কান ব্যাটারের ব্যাট থেকে।
শেষ বলে দরকার পড়ে মাত্র ২ রান। কিন্তু এবারও বিচক্ষণতার পরিচয় দেন মাওয়া। তার বলে পরাস্ত হয়ে ২ রান তো দূরে থাক, ১ রান নিতে গিয়েও রান আউটের শিকার হন রাশ্মী। রুদ্ধশ্বাস এক জয় পায় বাংলাদেশ। তাতে টানা তিন জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করে টাইগ্রেসরা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে রাবেয়ার ৪০ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দল। ৪৬ বলে ৩১ রান করেন আফিয়া আসিমা ইরা। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান সংগ্রহ করে সুমাইয়া আক্তারের দল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।