ব্যাটিং-বোলিং কিংবা ফিল্ডিং কোনো ডিপার্টমেন্টেই ভালো করেনি বাংলাদেশ। সহজ স্বীকারোক্তি টাইগার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের। কিছুটা দোষ দিয়েছে এমন উইকেটে না খেলার অভ্যস্ততাকেও। তবে পুরনো বুলি এখনো শিখতে চাওয়ার মানসিকতা।
বাংলাদেশ ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয় বলেন, আমরা বল ভালো করিনি। শুধু বল না ব্যাটিংও ভালো করিনি।
সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিবো কোথা? টাইগারদের অবস্থা অনেকটা এমনই। পুরো ভারত সফরে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে ব্যাটিং নিয়ে। টেস্ট হোক কিংবা টি টোয়েন্টি সিরিজ টপ অর্ডারদের ব্যর্থতা ভুগিয়েছে অনেক। ভালো শুরু না পেলেও সাফল্য পাওয়া কঠিন।
বাংলাদেশ ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয় বলেন, প্রতিটি দলেই টপঅর্ডার থেকে রান হয়। যদিও টপঅর্ডার থেকে রান করা যায় তাহলে বড় স্কোর হবে এটাই স্বাভাবিক। চার নাম্বার পর্যন্ত যারা আছে তারা যদি রান করতে পারে তাহলে দেখা যায় ১৮০ থেকে ২০০ পর্যন্ত স্কোর হয়।
প্রথম টি টোয়েন্টি হারের পর দেশের উইকেটকে দোষ দিয়েছিলেন নাজমুল শান্ত। ব্যাটিং উইকেটে খেলার অভ্যাস নেই বলে বড় স্কোর কিভাবে করতে হয় জানে না ব্যাটাররা, স্বীকার করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাওহীদ হৃদয়েরও অনেকটা একই সুর। সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যে উইকেট ঠিকঠাক বুঝতে পারে না তাও মেনে নিলেন টাইগার ব্যাটার।
তাওহীদ হৃদয় আরও বলেন, আমরা অধিকাংশ খেলোয়াড় উইকেটটা বুঝতে পারি না। আমরা পেছনের কারণ নিজেরাও জানিনা, আমরা আমাদের অধিকাংশ উইকেট মিরপুরে খেলি। চট্টগ্রামে যখন খেলা হয় তখন জানি কি খেলা হতে পারে। ফ্লাট উইকেটে ব্যাটিং-বোলিং কিভাবে আমরা ভালো করব এ জায়গাটায় উন্নতি করলে আমরা সামনে ভালো করতে পারব।
ভারতের মতো বিশ্বসেরা দলের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে বিশ্বাস করেন তাওহীদ। দলের বাকিদের মতো এটাকে শিক্ষাসফর হিসেবে দেখছেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটার আরও বলেন, আমাদের অনেক জায়গা আছে যেখানে উন্নতি করতে হবে। এই সিরিজটা আমাদের জন্য অনেক ভালো একটা সিরিজ। এখানে শেখার জন্য অনেক কিছু আছে। আশা করি এখান থেকে আমরা অনেক ভালোভাবে শিখতে পারব।
রোববার রাতে দেশে ফিরবে ক্রিকেটাররা। কয়েকদিনের বিশ্রাম শেষে আবারও মাঠে ফিরবেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে সিরিজের প্রস্তুতি নিতে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।