বদলা নিল রাজস্থান রয়্যালস। গুজরাটের ডেরায় গিয়ে হার্দিক পান্ডিয়াদের হারিয়ে দিল সঞ্জু স্যামসংরা। মোতেরায় ৩ উইকেটে জিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখল রাজস্থান রয়্যালস।
টসে জিতে প্রথমে গুজরাটকে ব্যাট করতে পাঠান রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসং।শুরুতেই ঋদ্ধিমানের উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় টাইন্টান্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তোলে তারা। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হয়ে এদিন খুব একটা বড় রান করতে পারেননি কোনও ব্যাটসম্যানই। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করলেন ডেভিড মিলার। অর্ধশতরানের কাছে গিয়েও তা অধরাই থাকে শুভমান গিলের। ব্যক্তিগত ৪৫ রানেই সন্দীপ শর্মার বলে বাটলারের ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
তবে চমক দেখান অভিনব মনোহর। ১২ বলে ২৭ রান করে কার্যকরী ইনিংস খেলে জাম্বার বলে আউট হন। রাজস্থানের হয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন সন্দীপ শর্মা। একটি করে উইকেট দখল করেন বোল্ট , চাহাল ও জাম্পা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রাজস্থান রয়্যালস। শুরুতেই হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ১ রানে আউট হন যশস্বী জয়সওয়াল। রানের খাতা খোলার আগেই শামির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়ানে ফেরেন জস বাটলার। তার উপর প্রত্যাশার পারদ থাকলেও দলকে একেবারেই নির্ভরতা দিতে পারেনি এই তারকা ব্যাটসম্যান। এরপর ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসাবে ব্যাট করতে নামেন দেবদূত পাল্লিকল। ২৫ বলে ২৬ রান করে রশিদ খানের শিকার হন তিনি।
তবে রাজস্থানের দুর্গ রক্ষা করার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক সঞ্জু। ৩২ বলে ৬০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন রাজস্থান অধিনায়ক। তার ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি চার এবং ছয়টি ছক্কা দিয়ে। শিমরন হেটমায়ার, ধ্রুব জুরেল জুটি ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন। শিমরন ২৬ বলে ৬০ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি ছক্কা, দুটি চার। জুরেল ১০ বলে ১৮ রান করেন। শেষ দিকে নেমে ৩ বলে ১০ রান করলেন অশ্বিন।
শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে জয় তুলে নেয় রাজস্থান। গুজরাট দলের বোলিং লাইন খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেনি। মোহাম্মদ শামি তিনটি এবং রশিদ খান দুটি উইকেট তুলে নেন। ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবলে সবার উপরে রাজস্থান। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে এখন গুজরাট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।