যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত না হলে হয়তো বিশ্বকাপে টিকে থাকতো পাকিস্তান। সেটি হয়নি। বৃষ্টির পানিতে স্বপ্ন ভেঙেছে বাবর আজমের দলের। পাকিস্তানও আয়ারল্যান্ডের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই।
আজ রোববার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়ম রক্ষার ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। এই ম্যাচে ১০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতে আইরিশদের ৩ উইকেটে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেছে বাবর আজমরা।
আইরিশদের বিপক্ষেও দাপট নিয়ে ম্যাচটি জিততে পারেনি পাকিস্তান। ৬২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। শেষ দিকে জয়ের জন্য ১২ বলে ১২ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। ১৯তম ওভারে ২ ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
ফ্লোরিডার লডারহিলে ১০৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৬ বলে ১৭) ও সাইম আইয়ুবকে (১৭ বলে ১৭) হারায় পাকিস্তান।
৩৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর আরও ৪ ব্যাটার ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি ফখর জামান (৬ বলে ৫), উসমান খান (৩ বলে ২), শাদাব খান (২ বলে ০), ইমাদ ওয়াসিম (৪ বলে ২)।
এরপর বাবর আজমের সঙ্গে ৪০ বলে ৩৩ রানের জুটি করেন আব্বাস আফ্রিদি। এই জুটিতেই মূলত শঙ্কা কাটে পাকিস্তানের। ২১ বলে ১৭ রান করে আউট হন আব্বাস। এরপর শাহিন আফ্রিদিকে নিয়ে ৭ বলে ১৬ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত করেন বাবর। ৩৪ বলে ৩২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ডকে শুরুতেই কোণঠাসা করে ফেলে পাকিস্তানের পেসাররা। স্কোরকার্ড চালু হওয়ার আগেই আইরিশদের প্রথম উইকেট তুলে নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। অ্যান্ডি বালবির্নিকে (৩ বলে ০) বোল্ড করে দেন বাঁহাতি এই পেসার।
ওই ওভারের পঞ্চম বলে লরকান টাকারের (২ বলে ২) উইকেটও তুলে নেন শাহিন। তখন আইরিশদের স্কোরকার্ডে মাত্র ২ রান। পরের ওভারে বল করতে এসে অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে (২ বলে ১) সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ আমির। বাঁহাতি এই পেসারের বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ হন স্টার্লিং।
৪ রান করতেই ৩ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। দলীয় ১৫ রানের মাথায় হ্যারি টেক্টরকে (৬ বলে ০) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন শাহিন।
পিচে একটু স্থির হওয়ার চেষ্টায় থাকা জর্জ ডকরেলকে ১০ রানের (১১ বলে) বেশি করতে দেননি আমির। তাকে স্লোয়ার বল দিয়ে নিজের হাতের ক্যাচ বানান পাক পেসার। কার্টিস ক্যাম্পারকে (১৪ বলে ৭) তুলে নেন হারিস রউফ। অর্থাৎ ৩২ রানে ৬ উইকেট নেই আইরিশদের।
এরপর প্রতিরোধ গড়ে দলের মান বাঁচান গ্রেরেথ ডেলানি ও মার্ক অ্যাডায়ার। ৩০ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তারা। ইমাদ ওয়াসিমের বলে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ হওয়ার আগে ১৯ বলে ৩১ রানের দ্রুতগতির ইনিংস খেলেন ডেলানি। অ্যাডার করেন ১৯ বলে ১৫ রান। তাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান ইমাদ।
দশম উইকেটের জুটিতে ৩৬ বলে অপরাজিত ২৬ রানের জুটি করেন জস লিটন ও বেন হোয়াইট। এতে মান বাঁচানো একটি পুঁজিই পেয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।
পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ইমাদ ও শাহিন। দু্টি উইকেট শিকার করেন আমির আর ১টি উইকেট নিজের থলিতে পুরেন হারিস রউফ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।