বার্মিংহামের পেরিবার শহরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী আলেক্সান্ডার স্টেডিয়াম। পেরিবারের পেরি এবং বুল রিংয়ের বুল; দুটোর সমন্বয়ে মাসকট ‘পেরি’। চোখ জুড়ানো এবং মনমাতানো স্টেডিয়ামের মেইন গেটে বসানো সেলফি স্ট্যান্ড। কমনওয়েলথ গেমসে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের তারকা অ্যাথলেটদের ছবি সংবলিত স্ট্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত ইংলিশরা।
মঙ্গলবার স্প্রিন্ট, হাইজাম্প, ডিসকাস থ্রো, হেপ্টাথলনে প্রিয় তারকার লড়াই দেখতে অ্যাথলেটিকসে ইংল্যান্ডের প্রাণকেন্দ্রে ব্রিটিশদের মিলনমেলা। স্টেডিয়ামের ভেতরে ৩০ হাজার দর্শকের চিৎকারে সৃষ্টি হয় অন্যরকম আবহের।
ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়ন নিয়েটা, অলিম্পিকে পাঁচ স্বর্ণজয়ী জ্যামাইকান দ্রুততম মানবী থম্পসন-হেরাথের সঙ্গে এদিন আলোটা ছিল বাংলাদেশের ইমরানুর রহমান ও সুমাইয়া দেওয়ানের ওপরও। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দু’জনই পূর্বসূরিদের পথ অনুসরণ করেছেন। কমনওয়েলথ গেমসে অ্যাথলেটিকসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্টে হিট থেকেই বিদায় নিয়েছেন তাঁরা।
আলেক্সান্ডার স্টেডিয়ামের ভেতরে একপাশে স্প্রিন্টের লড়াই, অন্য পাশে হাইজাম্প। পরিপূর্ণ গ্যালারিতে দর্শকদের উন্মাদনা দেখে বোঝা যায় কতটা ‘স্পোর্টস লাভার’ তাঁরা। সাউন্ড বক্সে স্বদেশি অ্যাথলেটদের নাম উচ্চারিত হওয়ার পর যেভাবে স্লোগান দিয়েছিলেন ইংলিশরা, ঠিক তেমনটিই হয়েছিল ইমরানুরের সময়। ধারাভাষ্যকার মাইকে যখন বলে উঠেছেন ইমরানুর রহমান কাম ফর্ম বাংলাদেশ, তখন হাত উঁচিয়ে নিজেকে জানান দেন ইমরানুর। আর লন্ডন প্রবাসী বলে ইংলিশদেরও সমর্থন ছিল তাঁর প্রতি।
সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সে প্রত্যাশার পারদটাও বেশি ছিল তাঁকে ঘিরে। হিটের গণ্ডি পেরিয়ে নতুন সূর্য উদিত হবে তাঁর মাধ্যমে, এমন স্বপ্নও দেখছিলেন সবাই। কিন্তু ক্যারিয়ারসেরা টাইমিং করেও বাংলাদেশের এ চ্যাম্পিয়ন পারেননি সেরা দুইয়ে থাকতে। গতকাল ছেলেদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে আট নম্বর লেনে দৌড়াতে নামেন ইমরানুর।
তিন নম্বর হিটে দৌড়ানো বাংলাদেশের এ চ্যাম্পিয়ন তৃতীয় হয়ে দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১০ দশমিক ৪৬ সেকেন্ড। সেমিফাইনালে উঠতে না পারলেও টাইমিংয়ে উন্নতি হয়েছে তাঁর। সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হওয়া ইমরানুর দৌড় শেষ করেছিলেন ১০ দশমিক ৫০ সেকেন্ডে। দ্বিতীয় হওয়া ওয়েলসের আজু জেরেমিয়াহর সঙ্গে ইমরানুরের ব্যবধান ছিল শূন্য দশমিক ১১ সেকেন্ড।
বারবার মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটাতেই কিনা প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি মেলাতে পারছেন না ইমরানুর, ‘কঠিন হয়ে পড়ে যখন আপনি লেনের শেষ দিকে থাকবেন। বুঝতে পারছিলাম না আমার সঙ্গে কী হতে যাচ্ছে? খুবই খারাপ লাগছে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।