সাকিব আল হাসান-মুস্তাফিজুর রহমানের কল্যাণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে ৫ রানের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য ৫ম টি-টোয়েন্টিতে জিতে সফরকারিদের বাংলাওয়াশের লজ্জা দেয়া। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪র্থ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলে মন ভরাতে পারেনি সমর্থকদের। কেননা উদ্বোধনী জুটিতে শতরানের পার্টনারশিপ হলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৪৩ রানে থামতে হয় টাইগারদের। এক পর্যায়ে টাইগারদের পরাজয় দেখছিল অনেকে, কিন্তু বল হাতে দলের দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় পারফর্ম করায় শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
এ ম্যাচে জয় পেলেও শান্তিতে নেই তামিম-শান্ত-সাকিবরা। কেননা নাটকীয় ব্যাটিং ধসে লজ্জার এক রেকর্ড গড়েছে টিম টাইগার্স। যা টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে নেই আরও কারও।
শুক্রবার (১০ মে) মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান করেন তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার। কিন্তু এ দুজনের বিদায়ের পর একেবারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ ৮ উইকেটের পতন ঘটে মাত্র ৩৫ রানে। ম্যাচে লুক জঙ্গওয়ের ৩টি এবং বেনেট ও এনগারাভার ২টি করে উইকেটে শিকার করেন। এতে করে পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি স্বাগতিকরা। ১ বল বাকি থাকতেই ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় তারা। আর এতেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রায় ২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। যা নেই আর কারও।
নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এরপর প্রায় ২০ বছর পেরিয়ে গেছে, এর মধ্যে খেলা হয়েছে ২৬০১টি ম্যাচ। এরমধ্যে কোন ম্যাচেই প্রথমে ব্যাটিং করে প্রথম উইকেটে ১০০ রানের জুটির পর কোন দলই অলআউট হয়নি। তবে টি-টোয়েন্টির ২৫৯৯ তম ম্যাচে এসে এই রেকর্ডটি ভাঙ্গলো। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে প্রথম দল হিসেবে প্রথম জুটিতে ১০০ রান করার পরও অলআউট হলো বাংলাদেশ।
অবশ্য অনাকাঙ্খিত এই রেকর্ডের দিনে যদিও শেষ পর্যন্ত হাসি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।