কিছুদিন আগেও টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষস্থান নিয়ে ইঁদুরযুদ্ধ চলত টিম সাউদি ও সাকিব আল হাসানের মধ্যে। তবে সাম্প্রতিককালে সাকিব বাংলাদেশ দলে বেশ অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন। বয়সের ছাপ পড়ছে ফর্মেও। তাতে কিউই পেসারের চেয়ে বেশ পিছিয়ে পড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়। তবে একটা জায়গায় সাকিবের ধারেকাছেও নেই সাউদি। শুধু সাউদি কেন, এখন খেলছেন এমন বোলারদের মধ্যে আসলে কেউই নেই সাকিবের আশেপাশে।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর একে একে মাঠে গড়িয়েছে আরও সাত আসর। এবার যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আর এর প্রত্যেকটি আসরেই খেলেছেন সাকিব আল হাসান। এবারের আসরে খেলছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সাকিব ছাড়া শুধু রোহিত শর্মারই আছে এই অভিজ্ঞতা।
সবগুলো আসরে খেলা সাকিব বল হাতে দারুণ সফল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সাদা বলের সংক্ষিত সংস্করণের বিশ্বকাপে তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড নেই আর কারোরই। এমনকি উইকেট শিকারে সাকিবের ধারেকাছেও নেই কেউই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শহিদ আফ্রিদির চেয়ে আর উইকেট বেশি ৮টি!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৩৬ ম্যাচের ৩৫ ইনিংসে বল করেছেন সাকিব। তাতে ১৮.৬৩ গড়ে শিকার করেছেন ৪৭ উইকেট। রানও দিয়েছেন মাত্র ৬.৭৮ ইকনোমি রেটে।
বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। ৩৪ ম্যাচের ৩৪ ইনিংসে ২৩.২৫ গড়ে তিনি শিকার করেছেন ৩৯ উইকেট। অর্থ্যাৎ আফ্রিদির চেয়ে মাত্র ১ ইনিংস বেশি বল করে সাকিব ৮টি উইকেট বেশি শিকার করেছেন। আফ্রিদির চেয়ে ৩৫টি বল কম করেছেন সাকিব।
সাকিব ও আফ্রিদির পরের স্থানেই আছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। ৩১ ম্যাচের ৩১ ইনিংসে ২০.০৭ গড়ে ৩৮ উইকেট শিকার করেছেন মালিঙ্গা। বিশ্বকাপে শুধুমাত্র এই তিনজনের ৩০ বা তার বেশি ইনিংসে বল করার রেকর্ড আছে।
উইকেট শিকারে সেরা পাঁচে পরের দুটি নাম যথাক্রমে পাকিস্তানের সাঈদ আজমল ও শ্রীলঙ্কার অজন্থা মেন্ডিসের। ২৩ ইনিংসে ৩৬ উইকেট শিকার করেছেন আজমল। ২১ ইনিংসে ৩৫ উইকেট শিকার করেছেন মেন্ডিস। ২৪ ইনিংসে মেন্ডিসের সমান ৩৫ উইকেট শিকার করেছেন পাকিস্তানি পেসার উমর গুলও।
এখনও খেলছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে উইকেটের হিসেবে সাকিবের পরেই আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২৪ ইনিংসে ৩২ উইকেট শিকার করে গুলের পরেই আছেন ভারতের এই অফ স্পিনার। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে ভারতের স্কোয়াডে নেই তিনি। আর বাস্তবতা হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর কখনোই তার খেলার সম্ভাবনা নেই।
অশ্বিনের পরেই আছেন শ্রীলঙ্কার বর্তমান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। মাত্র ১৬ ইনিংসে বল করেই ৩১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। খেলছেন এবারের বিশ্বকাপেও। তবে এই ব্যবধান ঘুচিয়ে এবারই সাকিবকে ছাড়িয়ে যাওয়া তার জন্য বলতে গেলে অসম্ভব।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি টিম সাউদি বিশ্বকাপে ২২ ইনিংসে শিকার করেছেন ২৯ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ২০ ম্যাচে ২৭ ও নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও স্পিনার ঈশ সোধি ২৫টি করে উইকেট শিকার করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।