সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই ফাইনালে চিটাগং কিংস। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ভাষায়, টাকার গরম নাই দলটায়। সাদামাটা দল নিয়ে শিরোপার মঞ্চে ওঠা চমকই বটে। তারকাসমৃদ্ধ বরিশাল বরং ফাইনালে না উঠলেই চমক হত। দু’মেরুর দু’দলের রোড টু ফাইনালের গল্প থাকছে প্রতিবেদনে।
দেশি-বিদেশি তারকায় ঠাসা বরিশাল। স্পন্সর-বাজেট-তামিম ইকবালের ক্যাপ্টেন্সি সব মিলে উড়ন্ত এক দল। চিটাগংয়ে বড় নাম নেই বিতর্কও সঙ্গী। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে ঠিকই ফাইনালে।
টানা আট জয়ে উড়ছিল রংপুর। প্লে অফ থেকে বিদায় নিলেও লিগ পর্বের দু’দেখায় দু’বারই তাদের কাছে হারে বরিশাল। চিটাগংয়ের বিপক্ষে হারে এক ম্যাচ বাকি ১০ ম্যাচে জয় মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের।
কাকে রেখে কাকে খেলাবে বরিশাল। এমন মধুর সমস্যায় টিম কম্বিনেশন বারবার পরির্তন করতে হয়েছে তামিম ইকবালকে। অধিনায়ক ব্যাট হাতেও দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কাইল মায়ার্সের কারণে পাঁচ ম্যাচ সাইডবেঞ্চে বসা থাকার পর ডেভিড মালানের ব্যাট হাসছে। মাহমুদউল্লাহর কিছু ইমপ্যাক্ট ইনিংস, হৃদয়ের নিজেকে ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং লাইনআপ।
বল হাতে ফাহিম আশরাফ ছিলেন কান্ডারি। ১১ ম্যাচে ২০ উইকেট তুলে দেশে ফিরেছেন পাকিস্তান পেসার। মোহাম্মদ নবী, তানভীর ও রিশাদের স্পিনও বড় ভূমিকা রেখেছে ফাইনালের পথে।
চিটাগং লিগ পর্বে জিতেছে আট ম্যাচ। হেরেছে চারটা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে বরিশালের কাছে হারে। দ্বিতীয় সুযোগ মিস করেনি। শেষ বলের রোমাঞ্চে খুলনাকে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
দু’বিদেশি গ্রাহাম ক্লার্ক ও উসমান খান ব্যাট হাতে আলো ছড়ান। তবে দলটার এতদূর আসার পেছনে বড় অবদান শামীম পাটোয়োরীর বিধ্বংসী ব্যাটিং। উসমান খানের চলে যাওয়ার পর ফর্মে ফিরেছেন পারভেজ ইমনও।
চিটাগংয়ের বোলিং ইউনিটও আলাদা করে নজর কেড়েছে। ২০ উইকেট নেয়া খালেদ আহমেদ দলটার সেরা প্রাপ্তি। খারাপ সময় পেছনে ফেলে শরিফুলও শেষের দিকে উজ্জ্বল। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরও আলিস আল ইসলাম ও আরাফাত সানী নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্পিন অ্যাটাকের।
বরিশালের সহজ আর চিটাগংয়ের কঠিন পথ মিলেছে ফাইনালে। এখন শেষটা দেখার অপেক্ষা ক্রিকেটপ্রেমিদের।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।