ডান হাত, বাম হাত নয়—বাংলাদেশ ক্রিকেটে দাপট দেখাচ্ছে এখন শুধুই অজুহাত। মাঠে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দিতে না পারলেও ম্যাচ শেষে চলে চেনা মুখস্থ বুলি। তার ব্যতিক্রম হলো না পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও। বিশৃঙ্খল বোলিং আর অনুৎসাহী ব্যাটিংয়ে ৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা ছিল। তবে লাহোরে পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় কখনোই লড়াকু মনোভাব দেখা যায়নি টাইগারদের মধ্যে। বরং ব্যাটসম্যানদের শরীরী ভাষায় ছিল শুধু হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা। যেন বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ খেলছে, যেখানে নেট রান রেটের হিসাব চলে আসে।
শেষ পর্যন্ত ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। হার দেখে নেয় ৩৭ রানের ব্যবধানে। আর ম্যাচশেষে অধিনায়ক লিটন দাস এনে তোলেন সেই পুরনো অজুহাতের গল্প।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই পুরো ম্যাচেই আমরা ভালো খেলিনি—বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং—সবই ছিল খারাপ। আমাদের ভালোভাবে কামব্যাক করতে হবে। এখনো দুইটি ম্যাচ বাকি আছে, ধারাবাহিকতা দরকার।’
উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিটন যোগ করেন, ‘শুধু ব্যাটিং-বোলিং না, ফিল্ডিংও ভালো করতে হবে। এই মাঠে ২০০ রান তাড়া করা সম্ভব ছিল। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল। কিন্তু আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি।’
তবে হতাশার মাঝেও জাকের আলী অনিকের ২০ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটি আলাদাভাবে উল্লেখ করেছেন লিটন।
‘জাকের গত এক বছর ধরে ভালো পারফর্ম করছে। সে একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তবে একজন ম্যাচ জেতাতে পারবে না, সবাইকেই অবদান রাখতে হবে। আমাদের মানসিকভাবে আরও প্রস্তুত হতে হবে। ক্রিকেট শুধু অনুশীলনের খেলা না, মানসিকভাবে প্রস্তুত থেকেও মাঠে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।