রফিকউদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষ। তখনো চলছে কিংসের উত্সব। মোহামেডান তখন স্টেডিয়াম ছাড়ার পথে। চলতি মৌসুমে মোহামেডান অসাধারণ খেলেছে। দুটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও লিগে এখনো দ্বিতীয় স্থানে।
একটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি না পাওয়ায় কোচ আলফাজ আহমেদের কন্ঠে খানিকটা আক্ষেপই ঝরল, ‘ চ্যাম্পিয়ন হতে খানিকটা ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে যেটা আমাদের ছিল না। আজ রক্ষণে কিছুটা ভুল ছিল পাশাপাশি আমাদের দিয়াবাতে গোল মিস না করলে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হতে পারতাম। ‘
ফাইনালের আগে রেফারিং নিয়ে শঙ্কিত ছিল মোহামেডান। আজ ফাইনালে হারের পর রেফারিকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছেন মোহামেডানের কোচ , ‘তাদের খেলোয়াড় আমাদের খেলোয়াড়কে ধাক্কা দিয়েছে এতে আমাদের খেলোয়াড় পড়ে যায়। এটা শতভাগ ফাউল, গোল নয়।’ আজকের ম্যাচে রেফারি ছিলেন জসীম আক্তার। তার সম্পর্কে মোহামেডান কোচের বক্তব্য, ‘সে তেমন অভিজ্ঞ রেফারি নয়। বিশেষ করে তিনি বড় ম্যাচ খুব বেশি করেননি। আমরা পাঁচ জন, কিংসও কয়েকজনের উপর আপত্তি দিয়েছে। এর বাইরে রেফারি আর কোথায়?’
ফেডারেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের রেফারিংয়ের মান কেমন সেটা আজ দর্শকরা দেখেছে। ফুটবলের স্বার্থে রেফারিংয়ের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করছি ফেডারেশনের যেন কোনো দল বিশেষ সুবিধা না পায়।’
মোহামেডান অতিরিক্ত সময়ে কিংসের গোলের বিপক্ষে তীব্র প্রতিবাদ করেছে। খেলতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিল এক প্রকার। দশ মিনিট বিলম্বে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে মোহামেডান। বাকি ১৫ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের শট ছাড়া মোহামেডান তেমন আক্রমণ করতে পারেনি। এর পেছনে ঐ আন্দোলনের মনোভাবের প্রভাব দেখছেন, ‘মানসিকভাবে আমরা ভেঙে পড়েছিলাম। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে সেটারই প্রভাব পড়েছে কিছুটা।’
এই মৌসুমে মোহামেডান হকিতে এগিয়ে থেকেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মাঠ ছেড়েছিল। আজ ফুটবলেও এমন পরিস্থিতির উপক্রম হয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য সেই অবস্থান থেকে সরে আসে সাদা-কালোরা। স্বাধীনতা কাপের পর ফেডারেশন কাপেও বসুন্ধরা কিংস ২-১ গোলে মোহামেডানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দুই ম্যাচই মোহামেডান লিড নিয়ে হেরেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।