মেয়াদ বাড়ল বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের, সিদ্ধান্ত হয়নি কোচের

বাফুফের নির্বাহী সভায় আজকের আকর্ষণ ছিল জাতীয় পুরুষ ও নারী ফুটবল দলের বিদেশি কোচের চুক্তির সিদ্ধান্ত। কিন্তু ঘন্টা তিনেকের বেশি সভা হলেও বাফুফে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। কোচের বিষয়টি অপেক্ষমাণ থাকলেও বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের মেয়াদ আরো দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বাফুফের দীর্ঘ সভা শেষে নির্বাহী সদস্য ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘জাতীয় দলের কোচের বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান আমাদের সম্মানিত সভাপতি। তিনি বিষয়টি নিয়ে সাত দিনের মধ্যে আমাদের সঙ্গে আবার বসবেন। এর মধ্যেই সিদ্ধান্ত আসবে।’

বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার ও স্পেনিশ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার মতো বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের চুক্তির মেয়াদও ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কোচদের বিষয়টি ঝুলে থাকলেও সাধারণ সম্পাদকের নিয়োগ নিয়ে বাফুফের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বাবু বলেন, ‘আমাদের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদকের চুক্তি আরো দুই বছর বৃদ্ধি করেছে নির্বাহী কমিটি।’

ইমরান হোসেন তুষারের বাফুফের আগমন হয়েছিল প্রটোকল বিভাগে। এরপর সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছিলেন কয়েক বছর। ২০২৩ সালে সোহাগের ফিফা কান্ডের পর তুষারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ছয় মাস পর তুষারকে স্থায়ী করে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি বাড়ানো হয়। সাধারণ সম্পাদক মূলত সভাপতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। সালাউদ্দিনের মতো তাবিথের আস্থা অর্জন করায় তুষারের মেয়াদ আরো দুই বছর বৃদ্ধি পেলো। তুষারের স্বল্প সময়ের মেয়াদকালে অনিয়ম, বাজে ব্যবহারের ঘটনা না শোনা গেলেও প্রশাসনিক বিষয়ে তার অতি কোমল নীতি অবশ্য সমালোচনার জন্ম দেয় মাঝে-মধ্যে।

রেফারিরা সম্মানী ও ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বরাবর চিঠি দিয়েছিলেন। আজ সভার আগে রেফারিরা বাফুফে সভাপতিসহ নির্বাহী কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সভায় রেফারিদের দাবি দাওয়া নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘রেফারিদের দাবির প্রেক্ষিতে এবং আমাদের আলোচনায় তাদের ম্যাচ ফি ও ভাতা আগামী জানুয়ারি থেকে বৃদ্ধি পাবে। তাদের বকেয়ার বিষয়টি আমরা আলোচনা করে সমাধান করব। পাশাপাশি আমরা রেফাদিরে উন্নয়নের জন্য রেফারিজ একাডেমি করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।’

২০২৪-২৫ মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে আটটি দল অংশগ্রহণ করবে। প্রথম বিভাগের ক্লাবগুলোও খেলার জন্য আবেদন করতে পারবে। বাফুফে ক্লাব লাইসেন্সিং বিচার করে খেলার সিদ্ধান্ত দেবে। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে কোনো রেলিগেশন থাকছে না আগামী মৌসুমে।

৯ নভেম্বর বাফুফের প্রথম নির্বাহী সভায় প্রায় বিশটি অ্যাডহক ও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান অনুমোদন হয়েছিল। আজকের সভায় সেই কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ হয়েছে। রেফারিজ, গ্রাউন্ডস, ফুটসাল ও কম্পিটিশন এই কমিটিগুলো গঠন হয়নি। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই কমিটি গঠনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে বাফুফে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তারুণ্যের উৎসব করছে। সেই উৎসবে শামিল হতে বাফুফে অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ করতে চায়। এই লক্ষ্যে কয়েকটি জেলায় খেলা আয়োজনের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। বাফুফের পরবর্তী দুই নির্বাহী সভার একটি চট্টগ্রামে আরেকটি যশোরে অনুষ্ঠিত হবে। এই দুই সভা আয়োজনে ব্যয় বহন করবেন বাফুফের দুই সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম ও শাহরিয়ার জাহদেী।