ঘরের মাঠ শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা খেলবে ছেলে, এমনটাই চাওয়া মুশফিকুর রহিমের বাবার। বগুড়ায় বিসিবির ভেন্যু পুনর্বহালের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে এসে তার স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন মাহাবুব হামিদ তারা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দ্রুতই চান্দু স্টেডিয়ামে আবারও বিসিবির ক্রিকেট ফিরবে, এমনটাই প্রত্যাশা গণস্বাক্ষরে অংশ নেয়াদের। সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে স্বাক্ষর গ্রহণ।
যে মাটিতে জন্ম, যে আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা, তার প্রতি থাকে আজন্মের নাড়ির টান। ক্রিকেটের ২২ গজে মুশফিকের হাতেখড়ি হয়েছে যেখানে, সেই বগুড়াতেই ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটার পর গার্ড অব অনার নিয়ে মাঠ ছাড়বে ছেলে। যেই মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ক্লাস চিনিয়ে অসংখ্যবার আনন্দে ভাসিয়েছেন গোটা দেশকে, তার জন্মদাতার চাওয়াতে তো আকাশের চাঁদটাও হাতে দেয়া যায়! তবে বিসিবির সাম্প্রতিক সময়ে নেয়া সিদ্ধান্তের পর সত্যিই যেন এই চাওয়াটা পূরণ করা উপমার মতোই অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
২ মার্চ বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে ভেন্যু তালিকা থেকে বাতিল করে মালামালসহ ১৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বদলি করার পর থেকেই মন খারাপ বগুড়াবাসীর। অনেকে বয়সের ভারিক্কি ভুলে কেঁদেছেন অঝোরে। তবে হাল ছাড়েনি। প্রাণের স্টেডিয়ামকে আগের থেকেও আরও শক্ত অবস্থানে ফেরাতে নেমে পড়েছেন আন্দোলনে। লাগাতার মানববন্ধনের পাশাপাশি এবার গণস্বাক্ষর। বগুড়া জেলা প্রেসক্লাবের এই আয়োজনের সঙ্গে একাত্মতা জানাচ্ছেন সব বয়সের, সব শ্রেণিপেশার মানুষ।
বিসিবি কিংবা জেলা ক্রীড়া পরিষদ, কাউকেই এককভাবে না দুষে দুপক্ষের সমঝোতায় দ্রুত সমাধানের দাবি সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের। এই গণদাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মুশির বাবা।
মুশফিকের বাবা মাহবুব হামিদ তারা বলেন, ‘কীভাবে যে এটা হচ্ছে তা আমাদের কারো মাথায় নেই। আমি শুধু মুশফিকের বাবা হিসেবে নয়, এই এলাকার যারা ক্রীড়াবিদ আছে তাদের জন্য হলেও এই মাঠটা ভেন্যু হিসেবে রাখা উচিত। আমি চাই চান্দু স্টেডিয়ামেই ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলুক মুশফিক।’
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাওয়ার পর শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে খেলা ৫টি ওয়ানডের ৪টিতেই জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ২০০৭ সালের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হওয়ায় ২০১২ সালে আইসিসির স্ট্যাটাস হারায় ২০ কোটি টাকায় গড়া এই স্টেডিয়াম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।