মুশফিকুর রহিম কেন অমন কাণ্ড ঘটালেন? শক্ত হাতে হাল ধরে বিপর্যয় কাটিয়ে দিচ্ছিলেন। অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন, মুশফিক আজও ত্রাণকর্তা হবেন, বিপদ কাটিয়ে দলকে একটা সম্মানজনক পুঁজি গড়ে দেবেন। কিন্তু হায়! হঠাৎ লাঞ্চের পৌনে এক ঘণ্টা (৪৭ মিনিট) পর এক বিরল কাণ্ড ঘটিয়ে উইকেট বিসর্জন দিলেন টিম বাংলাদেশের সবচেয়ে সিনিয়র ৮৮ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মুশফিক।
নিউজিল্যান্ড পেসার জেমিসনের বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করে বলের গতিপ্রকৃতি না দেখে কিছু না ভেবে হঠাৎ সেই বল হাতে ধরে ফেলেন মুশফিক। আর তাতেই শেষ ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’খ্যাত ব্যাটারের ৮৩ বলে ৩৫ রানের সাজানো গোছানো ইনিংস।
তার খেলোয়াড়ি জীবনের বন্ধু ও অন্তত ১৫-১৬ বছরের সতীর্থ তামিম ইকবাল টিভি ধারাভাষ্যে বলেছেন, ৮০’র ওপর টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কারো কাছ থেকে এমন আউট ঠিক প্রত্যাশিত নয়। হয়তো সে নেটে ব্যাট করার মত অবচেতন মনে ধরে ফেলেছে। তবে এভাবে বল ধরায় কোনো পেশাদার অ্যাপ্রোচ খুঁজে পাননি তামিম।
আসলে কী হয়েছিল? মুশফিক কেন এমন ঘটনা ঘটালেন? ভক্ত, সমর্থক ও দর্শক সবার মনে কৌতুহলী প্রশ্ন। প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনেও উঠলো এ প্রশ্ন। নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা স্পিনার মিচেল স্যান্টনার আর বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের কাছেও রাখা হয়েছিল সে প্রশ্ন। মিরাজ মনে করেন, মুশফিক এটা অবচেতন মনেই করে ফেলেছেন।
তার কথা, ‘কেউ এটা জেনে বুঝে করতে পারে না। এটা তো ইচ্ছাকৃতভাবে হয় না। এটা খেলার ফ্লোতে হয়ে গেছে। জিনিসটা হয় কী, তিনি তো ইচ্ছেকৃত করেননি। কিন্তু জেনেশুনে কেউ কখনও আউট হতে চায় না। ফ্লোতে খেলতে গিয়ে হয়ে গেছে এরকম।’
মিরাজ আরও বলেন, ‘দেখেন, খেলার পরিস্থিতিতে অনেক সময় ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে অনেক কিছুতে থাকে। হাতটা হয়তো সেভাবেই চলে গেছে।’
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড স্পিনার মিচেল স্যান্টনার বলেন, ‘এটা হয়তো খুব ভালো অপশন ছিল না। তবে ওই অবস্থায় যখন মুশফিক আর শাহাদত দিপু প্রায় ম্যাচ ধরে ফেলেছিলেন, তখন আমাদের জন্য মুশফিকের অমন আউটটা মনে হয় বেশ দরকারিই ছিল।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।