এই প্রথম আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলল যুক্তরাষ্ট্র। আর ২-১ ব্যবধানে জিতে প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করল আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশটি। এ সাফল্যে ভীষণ খুশি যুক্তরাষ্ট্রের কোচ স্টুয়ার্ট ল। অস্ট্রেলিয়ান এ কোচ ২০১২ সালে কয়েক মাসের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। এর পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ও বিসিবি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে কাজ করেছেন লম্বা সময় ধরে। তাই বাংলাদেশ দলের হাঁড়ির খবর তাঁর জানা। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষ প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর তুমুল সমালোচনার বিষয়টি চোখ এড়ায়নি তাঁর। শনিবার তিনি জানিয়েছেন, মিডিয়া নাকি চাপে রাখে বাংলাদেশ দলকে।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটের হারকে তেমন একটা পাত্তা দিতে রাজি নন স্টুয়ার্ট ল, ‘আমি যে কোনো সময় যে কোনো বড় দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের কথাই বলব। এটা নিয়ে (১০ উইকেটের হার) নিয়ে পড়ে থাকব না।’
অনেকের মতে, প্রথম দুই ম্যাচের সেরা চার পারফরমারকে বিশ্রাম দেওয়াতেই যুক্তরাষ্ট্র শেষ ম্যাচে পাত্তা পায়নি। ল আবশ্য বিষয়টিকে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখছেন, ‘আজ আমরা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলাম, কারণ আমরা সিরিজ জিতে ফেলেছি। ফলে অন্য খেলোয়াড়দের পরখ করে দেখার দারুণ একটি সুযোগ ছিল এটি। বিশ্বকাপের আগে সবাই যেন সুযোগ পায়, আমরা সেটা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম।’ প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের তুলনায় তাদের জয়ের তাড়না বেশি ছিল বলেই তারা সিরিজ জিতেছেন বলেও মনে করছেন তিনি।
শেষ ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমান ১০ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে রেকর্ড করলে ১০৪ রানে আটকে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এর পর সৌম্য ও তানজিদের ওপেনিং জুটির দাপটে ৫০ বল হাতে রেখেই ১০ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়। এ পারফরম্যান্সের সূত্র ধরে বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করার সময় মিডিয়ার চাপের কথা বলেন তিনি, ‘বাংলাদেশ ভালো দল। আপনারা (মিডিয়া) তাদের ব্যাপক চাপে রাখেন। এ বিষয়টি আমি ভালো মতোই জানি (হাসি)। তাদের দলে বেশ কয়েকজন ভালো শটস খেলার মতো ব্যাটার আছে। আজ (তৃতীয় ম্যাচ) যে দু’জন ব্যাট করল, তারা দারুণ কিছু শটস খেলল। কিছু বোলার ভালো বোলিং করেছে। ভালো গতি আছে তাদের। স্পিন সবসময়ই বাংলাদেশের শক্তির জায়গা।’
বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রশংসা করে ল আরও বলেন, ‘সাকিব এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার। লেগস্পিনার যে (রিশাদ), সে দারুণ বল করেছে। আমাদের কাজ কঠিন করেছে সে। আমরা সুইপ খেলতে পারতাম, বোলারদের চাপে ফেলতে পারতাম। কিন্তু আমরা সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। আসলে সাইডলাইনে বসে এসব অনেক কথাই বলা যায়। সাইডলাইনে বসে সেঞ্চুরি করে ফেলাও একদম সহজ কাজ। কিন্তু মাঠে গিয়ে দেখানোটা কঠিন। সেখানে দর্শকদের চাপ থাকে, বোলাররা থাকে।’ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো করবে বলেও প্রত্যাশা তাঁর।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।