২০১২ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। টানা চতুর্থ মেয়াদে তিনি এই দায়িত্বে রয়েছেন। এরই মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে বিজয়ী হন পাপন। এক সপ্তাহও পার হয়নি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাঝেই শপথ গ্রহণ করে ফেলেছে নতুন মন্ত্রীসভা। যার মধ্যে আলোচিত নাম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন। যিনি দায়িত্ব পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের।
এরপর থেকেই প্রশ্ন, তবে কি বোর্ড সভাপতির পদটা ছেড়েই দেবেন নাজমুল হাসান পাপন। যদি ছেড়েই দেন, তবে কে হবেন নতুন সভাপতি। যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে আসছে টাইগার দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজা। এদিকে মন্ত্রিত্ব পেলেও পাপনের বিসিবির দায়িত্বে থাকতে বাধা নেই। তবে সংবাদমাধ্যমকে পাপন জানিয়েছেন, এ বছরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ ছাড়তে চান।
ফলে ২০২৫ সালের মেয়াদেই পাপনের শেষ দেখে ফেলেছেন অনেকেই। এদিকে দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে মাশরাফিকে এই পদে দেখার আগ্রহ ব্যাপক। অনেকের মতেই দেশের ক্রিকেটের অভিভাবকের পদে সাবেক এই টাইগার পেসারই যোগ্য ব্যক্তিত্ব। এর সঙ্গে টাইগার বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানেরও রয়েছে আগ্রহ।
এমপি হবার সম্প্রতি আবুধাবিভিত্তিক ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ বাংলা টাইগার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বোর্ড সভাপতি হলে কেমন করবেন দিয়েছেন তার উত্তর। ‘সাকিব বলেন, যদি সুযোগ আসে আমি কখনো মিস করব না। আমি বিশ্বাস করি, যখন আমি যাব বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা সভাপতি হব। এটা আমার বিশ্বাস। পারি, না পারি এটা পরের কথা। আমার যদি সেরা হওয়ার চিন্তাই না থাকে তাহলে আমি সেরা কাজটা কীভাবে করব।’
‘কাউকে ছোট করে না। যদি আসি, ইন-শা-আল্লাহ অনেক কাজ করতে পারব। এটা আমি অনুভব করি। এখন আসলে সময়ই বলে দেবে। এখন মনে হচ্ছে অনেক কিছুই করতে পারব। তখন দেখা যাচ্ছে আসলেই করতে পারলাম না। এরকমও হতে পারে। কিন্তু ওই বিশ্বাসটা আমার আছে।’
তবে বিসিবির গঠনতন্ত্র দেখে কিছুটা হতাশ হয়ত হতেই হবে ক্রিকেট ভক্তদের। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখনই সাকিব আল হাসান বা মাশরাফি বিন মোর্তুজার বিসিবি সভাপতি হওয়ার পথে রয়েছে বড় বাধা। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেউ সভাপতি প্রার্থী হতে চাইলে প্রথমেই তাকে জেলাভিত্তিক ক্লাব কিংবা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হয়।
এরপর হতে হয় বিসিবি পরিচালক। সাকিব নিজেই এখনও ক্রিকেটার আর মাশরাফি খেলা থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও কোন আঞ্চলিক সংস্থায় যুক্ত হননি। বিসিবিতে দুজনের কারোরই পরিচালকের পদ নেই। ফলে সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারছেন না তারা। নাজমুল হাসান পাপনের দায়িত্ব ছাড়ার পর তাই সাকিব বা মাশরাফি নন, বরং বিসিবিরই কোনো পরিচালকের এই পদে আসার সম্ভাবনা বেশি!
এ বিষয়ে নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই। তাই বলা যায়, ভবিষ্যতে হয়ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই দুই সুপারস্টারের কোন একজন কে দেখা যেতে পারে। তবে সেটা এখনই নয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।