ঢাকাMonday , 8 January 2024
  1. world cup cricket t20
  2. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  3. অ্যাথলেটিক
  4. আইপিএল
  5. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরচারি
  8. এশিয়া কাপ
  9. এশিয়ান গেমস
  10. এসএ গেমস
  11. কমন ওয়েলথ গেমস
  12. কাবাডি
  13. কুস্তি
  14. ক্রিকেট
  15. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

মাশরাফি থেকে সাকিব

Sahab Uddin
January 8, 2024 12:48 am
Link Copied!

বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যে নির্বাচনে লড়েছেন কিংবদন্তিতুল্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান।
নির্বাচনে দুই বরেণ্য ক্রিকেটার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

এর মধ্যে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নড়াইল-২ আসন থেকে। আর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

সাকিব ও মাশরাফি ছাড়াও ক্রিকেটের বড় তারকাদের মধ্যে অনেকেই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন। হয়েছেন সংসদ সদস্যও। তাদের মধ্যে কারও কারও এমনকি প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার মতো উদাহরণ রয়েছে। যেমন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার ২০১৮ সালের আগস্টে পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হন এবং ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকেন।

পাকিস্তানের জার্সিতে ৭ হাজার ৫০০ রানের বেশি এবং প্রায় ৫৫০টি উইকেট নেওয়ার কীর্তি রয়েছে ইমরানের। ১৯৯২ বিশ্বকাপে তার জাদুকরী নেতৃত্বে শিরোপা জিতে নেয় আসরের ‘আন্ডারডগ’ পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে ৮৮ টেস্ট ও ১৭৫ ওয়ানডে খেলা ইমরান অবসরের পর রাজনীতিতে আসেন। ১৯৯৬ সালে ‘পিটিআই’ নামে গঠন করেন নিজের রাজনৈতিক দল। বর্তমানে অবশ্য ক্ষমতার বাইরে রয়েছে তার দল।

ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে নাম লেখানোদের তালিকায় বড় নাম শ্রীলঙ্কাকে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক অর্জুন রানাতুঙ্গা। লঙ্কানদের ৫৬ টেস্ট ১৯৩ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া এই ক্রিকেটার ২০১৯ সালে নিজ দেশের ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড সিভিল এভিয়েশন মিনিস্ট্রির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে শ্রীলঙ্কা সরকারের মিনিস্ট্রি অব পেট্রোলিয়াম রিসোর্সেস ডেভলেপমেন্ট, মিনিস্টার অব পোর্টস অ্যান্ড শিপিং এবং ডেপুটি মিনিস্টার অব ট্যুরিজমের দায়িত্ব সামলান তিনি।

শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক ও দেশটির সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সনাথ জয়সুরিয়া, যার নামের পাশে আছে ১০ হাজারের বেশি ওয়ানডে রান এবং ৩০০ উইকেট। ওয়ানডে ক্রিকেটে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের উত্থান ঘটানো এই বাঁহাতি ওপেনার লঙ্কানদের ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অবসরের পর ২০১০ সালে জাতীয় নির্বাচনে নিজ শহর মাতারা থেকে নির্বাচিত হন জয়সুরিয়া। পরে পোস্টাল সার্ভিসেস, লোকাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড রুর‍্যাল ডেভেলপমেন্ট, প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিল অ্যান্ড রিজিওনাল ডেভেলপমেন্টের ডেপুটি মিনিস্টার হিসবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে সফল হয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনও। ভারতের জার্সিতে ৯৯ টেস্ট ৬ হাজার ২১৬ রান এবং ৩৩৪ ওয়ানডেতে ৯৩৭৮ রান করা সাবেক এই ডানহাতি ব্যাটার অবসরের পর নির্বাচনে অংশ নেন। সর্ব-ভারতীয় রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের টিকিটে উত্তরপ্রদেশ থেকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

এছাড়া ভারতের আরেক সাবেক শীর্ষ ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরও অবসরের পর সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপির টিকিটে পূর্ব দিল্লি থেকে লড়ে নির্বাচিত হন তিনি। ভারতকে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি এবং ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো এই ওপেনার অবশ্য এখনও ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আইপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তালিকায় আরেক বড় তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা। সাবেক এই ওয়ানডে অধিনায়কের নেতৃত্বে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। আসরের শেষ আটে টাইগাররা হারিয়েছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ডকে। মাশরাফি অবশ্য অবসরের আগেই রাজনীতিতে নাম লেখান এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৯ বিশ্বকাপেও সংসদ সদস্যপদ থাকা অবস্থায় খেলেন মাশরাফি। এদিক থেকে তিনি বাকিদের চেয়ে বেশ আলাদাই বলা যায়। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় সংসদ সদস্য হওয়ার ঘটনা বেশ বিরল। বিশ্বকাপ শেষেও অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেননি টাইগারদের জার্সিতে ২২০ ওয়ানডে খেলা এই ডানহাতি পেসার। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চের পর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি তাকে। অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।

তালিকায় নতুন সংযোজন সাকিব আল হাসান। তিনিও মাশরাফির মতোই সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলা অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তার নেতৃত্বে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘটনাবহুল ম্যাচ জেতার পর আঙুলের চোটে ছিটকে যান তিনি। এরপর থেকে মাঠের বাইরেই রয়েছেন প্রায় ৩৭ বছর বয়সী বাঁহাতি অলরাইন্ডার।

তবে দ্বাদশ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে চমকে দেন সাকিব। এরপর থেকে দিন-রাত এক করে নিজ আসনে নির্বাচনী প্রচার চালান ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। ক্রিকেটের মতো রাজনীতির মাঠেও সাফল্যের দেখা পেয়েছেন তিনি। নতুন ক্যারিয়ারের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচনে জিতে সংসদে যাচ্ছেন সাকিব। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই ক্রিকেট মাঠেও ফিরবেন তিনি।

সবমিলিয়ে মাশরাফি ও সাকিব দেশের রাজনীতিতে নতুন ইতিহাসই রচনা করলেন। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসেও যে অধ্যায় একেবারেই নতুন। আরও নতুনের দেখা মিলবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।