আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের। আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও এটা নিশ্চিত যে, ভারত এই সফরে আসছে না। এর পেছনে আছে দুই দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইতোমধ্যে এই সিরিজ ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এই সিরিজ ঘিরে বিসিবি ২০২৫ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত দুই বছরের মিডিয়া স্বত্ব বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই প্রক্রিয়াও থেমে যায়। আগামী ৭ জুলাই টেকনিক্যাল বিডিং এবং ১০ জুলাই আর্থিক বিডিংয়ের তারিখ নির্ধারিত আছে। এখন বিসিবি নাকি ১৭ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত নির্ধারিত পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সত্ত্ব বিক্রির দিকে মনোযোগ দিয়েছে।
বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমরা এখন বাজার বিশ্লেষণের জন্য সময় নিচ্ছি। তাড়াহুড়ার কোনো দরকার নেই। আলাদাভাবে বিভিন্ন সিরিজের স্বত্বও বিক্রি করা সম্ভব।’ অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেটের সম্প্রচারকাজে জড়িত দায়িত্বশীল একজন ক্রিকবাজকে বলেছেন, তারা আমাদের জানিয়েছে, ভারতের বিপক্ষে কোনো সিরিজ নেই। টেন্ডার ঘোষণার পর তারা আইটিটি প্রদান করেনি। আপাতত তারা পাকিস্তান সিরিজের জন্য সত্ত্ব বিক্রি করছে।’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভারত সরকারও নাকি বিসিসিআইকে দ্বিপাক্ষিক সফর থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তবে দুই দেশের বোর্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি। ভারত না এলেও চলতি হোম সিজনে বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
উল্লেখ্য, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে আগামী ১৩ আগস্ট বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। দুই মাস আগে এই সিরিজের সূচি প্রকাশিত হয়েছে। দুই দিন আগে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, ‘রাজনৈতিক কারণে’ ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে ভারত সরকার সায় দিচ্ছে না, সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।