গত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেই শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার কাঠমান্ডুর আসরে সেমিফাইনালেই মুখোমুখি হওয়ায় ম্যাচের ফল কী হতে পারে তা নিয়ে ছিল শঙ্কা। তবে সংশয় উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ টাইব্রেকারে ভারতকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে আবারও ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা উজ্জীবিত ছিলেন। সেটাই কাজে লেগেছে বলে জানালেন কোচ মারুফুল হক।
আনফা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। আসা্দুল মোল্লা দারুণ এক গোলে লাল-সবুজ দলকে এগিয়ে নেন। বিরতির পর দাপট দেখিয়ে ভারতও সমতায় ফেরে। তবে টাইব্রেকারে এসে বদলি গোলকিপার মোহাম্মদ আসিফের নৈপুণ্যে বাংলাদেশের কাছে হেরে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
তাই ম্যাচশেষে বাংলাদেশ কোচ মারুফুল হক উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলবো, চ্যাম্পিয়ন হবো। যদিও গ্রুপ পর্বে নেপালের কাছে হেরেছি। এরপর খেলোয়াড়দের নানানভাবে উজ্জীবিত করেছি। তাদের ইচ্ছা ছিল ভালো কিছু করার। সেটা আজ তারা করতে পেরেছে। আমি খুশি। এছাড়া আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি আমাদের প্রজন্ম ভারতের বিপক্ষে জিততে চায়। এখন জেতায় তারা নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে।’
লাল-সবুজ দল আগে গোল করলেও সেই অগ্রগামিতা ধরে রাখতে পারেনি। এই ব্যর্থতাকে দেশের ফুটবলের পুরোনো রোগ বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রথম উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ, ‘আমাদের জাতীয় সমস্যা হলো এক গোলে এগিয়ে থেকে তা ধরে না রাখতে পারা। আরও গোল যে দেওয়া যায়, আক্রমণাত্মক খেলা যায়, সেটা তাদের শিখতে হবে।’
২৮ আগস্ট নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল। তার আগে বাংলাদেশ কোচ আজকের ম্যাচ নিয়ে বলেছেন, ‘নেপাল ভালো দল। তাদের মেধাবী খেলোয়াড়ও আছে। আশা করি ভালো ম্যাচ হবে। আমার মনে হয় সবাই খুশি হয়েছে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠায়। তারা সবসময় ভালো দল। এখন আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলবো। নেপালের মাঠ সবসময় বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত। এখন দেখা যাক কী হয়…’
এদিকে, ম্যাচের মাঝে গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ চোট পেয়ে বাইরে চলে গেলেও তার অবস্থা গুরুতর নয় বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।