টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলেছিলেন জাকের আলি অনিক। করতে পেরেছেন কেবল ৩৫ রান। ওই ব্যর্থতার পর আর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে ডাক পাননি। তবে ভারত সিরিজে ক্রিকেটভকক্তদের কিছুটা অবাক করে দিয়ে দলে জায়গা করে নিয়েছেন জাকের। পেসার শরিফুল ইসলামের বদলে তাকে দলে নেওয়া হয়েছে ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে।
পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে চার দিনের ম্যাচে ১৭২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জাকের। তবে সেই ইনিংস ভারত সিরিজে সুযোগ পাওয়ার জন্য যথেষ্ঠ হতে পারে, তা হয়তো অনেকেই ভাবেননি। জাকেন কী ভেবেছেন, তিনিই জানেন। অনুমান করা যায়, ভারত সিরিজে সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চকরই অনুভব করছেন তিনি। আজ শুক্রবার সে অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন জাকের আলি।
জাকের আলি বলেন, ‘অবশ্যই খুব ভালো একটা অনুভূতি। সবারই স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার। সেটার জন্য দলে সুযোগ পেয়ে অবশ্যই ভালো লাগছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমি ২০১৭ সাল থেকে খেলছি। যে সংস্করণই হোক, ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি ভালো করার চেষ্টা করি। ওরকম প্রক্রিয়াতেই এগোতে থাকি।’
স্কোয়াডে তো জায়গা পেলেন, একাদশে সুযোগ পাবেন কিনা? একাদশে সুযোগ পাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে জাকের আলি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
জাকের আলি বলেন, ‘স্কোয়াডে নির্বাচিত যেহেতু হয়েছি, উনারা প্রস্তুত মনে করেছেন বলেই নিয়েছেন। এখন আমার দায়িত্ব নিজের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া। তাদেরকে (ভারতীয় বোলার) নিয়ে অবশ্যই পরিকল্পনা হচ্ছে, যারা যারা খেলবে। নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করবো। অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। তবে এই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে রান করা গেলে আমার মনে হয় অনেক ভালো কিছু হবে।’
একাদশে সুযোগ পেলে লক্ষ্য কী? জাকের আলীর জবাব, ‘লক্ষ্য হলো সেরা পারফরম্যান্স করা ও দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলা।’
ভারতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন?
উত্তর মিডলঅর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘অবশ্যই। দেখেন, যেহেতু সর্বশেষ সিরিজটা খুব ভালো গিয়েছে, সেই আত্মবিশ্বাস তো অবশ্যই থাকবে। আমার মনে হয়, এই বছর আমাদের চেষ্টা থাকবে, যেটা আমরা দল হিসেবে আগে কখনও করতে পারি। সেটা করার চেষ্টা থাকবে।’
ভারতের বোলিং লাইন-আপই কি মূল চ্যালেঞ্জ?
জাকের আলি জবাব দিতে গিয়ে বলেন, ‘বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও চ্যালেঞ্জ থাকবে। চ্যালেঞ্জ তো সব দিক দিয়ে থাকবে। তাদের ব্যাটিং লাইন-আপও তো অনেক ভালো। আমরা যদি ব্যাটিং বিভাগে ভালো করতে পারি। সর্বশেষ দুইটা টেস্ট যদি দেখেন, আমরা সব কিছুতেই ভালো করেছি। বিশেষ করে ব্যাটিংটা ভালো ছিল। আমরা স্ট্রাগল করি ব্যাটিং নিয়েই। ব্যাটিং যখন খারাপ হয়, আমরা হেরে যাই। বোলাররা বেশিরভাগ সময় সাপোর্ট করে। আমরা ব্যাটিংটা যদি ভালো করতে পারি, আমাদের জন্য খুবই ভালো হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।