সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা এখন খবরের শিরোনামে। সাবিনা খাতুনদের এক দফা, ‘কোচ থাকতে পারবেন না পিটার বাটলার।’ গত বৃহস্পতিবার সাবিনার নেতৃত্বে জোট বেঁধে ১৮ ফুটবলার তাদের দাবির কথা জানিয়ে দিয়েছেন গণমাধ্যমে।
কোচ-খেলোয়াড়দের এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই সুখবর দিয়েছেন প্রথম সাফজয়ের অন্যতম খেলোয়াড় ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। ২০২৩ সালে অভিমানে বাফুফের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাওয়া সিরাজগঞ্জের মেয়ে নতুন জীবন শুরু করেছেন। আগামী শুক্রবার তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন। বর তারই খেলার একজন ভক্ত। নাম মো. শরিফুল ইসলাম টিংকু।
আঁখির মতো টিংকুও বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী। তবে ওই সময় তাদের পরিচয় ছিল না। ছেলেদের ‘কায়সার হামিদ’ তমকা পাওয়া আঁখির খেলা দেখে ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন টিংকু। কাজ করছেন চীনে একটি একাডেমির টেনিসের কোচ হিসেবে।
সেখান থেকেই ২০২২ সালে টিংকু দেশে চলে এসেছিলেন শুধু কাছ থেকে আঁখির খেলা দেখতে। আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুকটাক কথাবার্তা হলেও ঢাকায় এসে খেলা দেখার পর দুইজনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হতো এবং এক পর্যায়ের সেই যোগাযোগ গড়ায় প্রেমে। এখন সেই প্রেমের সফল সমাপ্তি পরিণয়ে।
ফুটবল অঙ্গনের অনেককেই বিয়েতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আঁখি। ৭ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দ্বাবারিয়া বাজার সংলগ্ন আঁখির নিজ বাসভবনে। বর টিংকুর বাড়ি রাজশাহীর রাজাপাড়ায়।
ভক্তের টানেই দেশের ফুটবল ছেড়ে চীনের সাংহাইয়ে চলে গিয়েছিলেন আঁখি খাতুন। তবে ফুটবল ছাড়েননি। সেখানে গিয়েও খেলা চালিয়ে গেছেন। বিয়ের পরও খেলা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন নারী ফুটবলে দেশে এ যাবতকালের সেরা ডিফেন্ডার, ‘আমি ফুটবল খেলা চালিয়ে যাবো। আবার চলে যাবো চীনে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।