হাংজুর কাবাডি কোর্টে নেপালিরা যখন উল্লাস করছে, বাংলাদেশ নারী দল তখন হতাশায় কোর্ট ছাড়ছেন। এই হতাশা শুধু হাফিজাদের নয়, পুরো দেশেরই। এশিয়ান গেমসে কাবাডিতে পদক পুনরুদ্ধারে ক্রীড়াঙ্গন তাকিয়ে ছিল নারী দলের ওপর। নেপালের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ব্রোঞ্জ আর মিলল না।
বাংলাদেশ নারী দল দেশে ও দেশের বাইরে (ভারত) অনুশীলন করেছে। ছিলেন বিদেশী কোচের অধীনেও। এত কিছুর পরেও নেপালের বিপক্ষে লড়াই-ই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে এমন হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন দলটির সহকারী কোচ মালেকা,‘আসলে আমরা অভিজ্ঞতার কাছেই হেরেছি। কারণ নেপালের মেয়েরা অনেক অভিজ্ঞ।’
সাবেক এই জাতীয় খেলোয়াড় যোগ করেন,‘আমার সময় যাদের বিরুদ্ধে খেলেছি তারা এখনও নেপালের হয়ে খেলছেন। পক্ষান্তরে আমাদের দলটি অত্যন্ত তরুণ। তারা চাপ নিতে পারেনি, তাই হেরে গেছি।’
সহকারী কোচের সঙ্গে একই মত দলটির ম্যানেজার ও ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগের,‘মেয়েদের কোর্টে খানিকটা নার্ভাসই লেগেছে। আমরা ফেডারেশনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি কিন্তু নারী দল শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেনি।’
আগে কাবাডিতে অর্থ ছিল, এরপরও এশিয়াডে পদক এসেছে। এখন কাবাডিতে অর্থের খেলা থাকলেও এশিয়াডে বিবর্ণ। দেশি কোচদের সেই অর্থে মূল্যায়ন নেই। অথচ দেশী কোচের অধীনে বাংলাদেশ নারী দল নেপালকে উড়িয়ে দিয়েছিল ২০১৬ এসএ গেমসে। ২০১৯ কাঠমান্ডু গেমসে বিদেশি কোচের অধীনে বাংলাদেশ নেপালের বিরুদ্ধে হেরেছিল চার বছর ব্যবধানে আবারও সেই হার। তাই অর্থ দিয়ে বিদেশি কোচ রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এত অর্থ দিয়ে কোচ রেখেছে ফেডারেশন অথচ গেমসে তারা আসতে পারেননি। নারী ও পুরুষ উভয় দলের দুই ভারতীয় কোচ শারীরিক অসুস্থতায় হাংজু আসতে পারেননি। কাবাডি কোচের অনুপস্থিতিতা নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনা থাকলেও ফেডারেশন যুগ্ম সম্পাদকের বক্তব্য,‘দুই জনই শারীরিকভাবে মারাত্নক অসুস্থ। হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কোচের। এরপর আসলে তাদের আসা কষ্টকরই।’
নারী দল ব্রোঞ্জ জিততে ব্যর্থ হলেও পুরুষদের নিয়ে খানিকটা আশা রয়েছে। চাইনিজ তাইপেকে পরাজিত করতে পারলে সেমিফাইনালে উঠতে পারে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে গেমসে আরেকটি পদক যোগ হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।