সাকিব আল হাসান রানে ফিরেছেন। ২০ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি পেয়েছেন। সাকিব হেসেছেন আর বাংলাদেশ হাসেনি, তা কী করে হয়! সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে সুপার এইটের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল টাইগাররা।
৪৬ বলে ৯ চারে অপরাজিত ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলার পর স্বভাবতই ম্যাচসেরার পুরস্কার পান সাকিব। যদিও বল হাতে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে জয়ের পেছনে মূল কৃতিত্বটা বোলারদেরই দিলেন তিনি।
পাওয়ার প্লেতে শুরুটা ভালো না হলেও মাঝের ওভারে দারুণ করে নেদারল্যান্ডস। ১৬০ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩তম ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান তুলে ফেলে তারা। কিন্তু ১৫তম ওভারে এসে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রিশাদ হোসেন। নিজের শেষ ওভারে আরও একটি উইকেট শিকার করেন তিনি।
বোলারদের নিয়ে সাকিব বলেন, ‘শীর্ষ চার ব্যাটারের কেউ একজনের ইনিংসজুড়ে ব্যাট করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। পিচ কঠিন ছিল। এটা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ বটে, কিন্তু জেতার মতো ছিল না। বোলাররা দারুণ করেছে। বিশেষ করে রিশাদ ও তাসকিন নেদারল্যান্ডসকে ম্যাচ থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। গত ৪-৫ বছরে এ মাঠে খুব একটা খেলা হয়নি। তাই ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত উইকেট ধরে রেখে কতদূর পর্যন্ত যাওয়া যায় সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে ১৬০ রানের সংগ্রহ সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং এবং এটাই প্রমাণ করেছি। ‘
‘তারা মোমেন্টাম পেয়েছিল, ১২তম ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৮০ বা ৯০ রান ছিল তাদের। বাতাসের একদিকে গমনের কারণে তাদের আটকানোটা সহজ ছিল না আমাদের জন্য। তাই স্নায়ু ধরে রেখে বোলাররা যেভাবে বল করেছে, সে কারণে তাদের কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। ‘
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।