নানা সমালোচনা সঙ্গী করে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। তবে একই দিনে বিসিবি নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুদকের কাছে তদন্তের দাবি করে একটি চিঠি দিয়েছেন আবদুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি।
রাজধানীর পাঁচ তারকা সোনারগাঁও হোটেলের বল রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভোটের আনুষ্ঠানিকতা। ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও গণমাধ্যমকর্মী এবং আয়োজকদের ব্যস্ততা শুরু হয় আরও আগে থেকেই। পরিচালক পদের প্রার্থীদের অনেকেই নিজেদের পোস্টার লাগিয়েছেন হোটেলের নিচে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে হোটেলে নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ১৯২ জন। তবে নরসিংদী থেকে কাউন্সিলর মনোনয়ন না দেয়ায় ভোটার সংখ্যা হয়েছে ১৯১ জন। ১৫টি ক্লাবের মনোনীত কাউন্সিলরদের নিয়ে জটিলতা থাকলেও আদালতের নির্দেশে গতকাল তারা ভোটাধিকার ফেরত পেয়েছেন।
সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চললেও অন্যদিকে দুদকের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন গুলশানের আবদুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিসিবি নির্বাচনে নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। সে বিষয়েই দুদকের কাছে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি নির্বাচন ২০২৫ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের রাতের ভোটকেও হার মানিয়েছে। বনানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বসে ডলারের আর্থিক লেনদেন হয়েছে। যে ১২ জনকে নির্বাচনের জন্য মনোনীত করা হবে, তার তালিকা আগেই চূড়ান্ত হয়েছে। অনেকে কাউন্সিলর পাঁচতারা হোটেলে বসে ই-ব্যালটে ভোট দিয়েছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বহুবার দেখা করতে চেয়েছেন কোনো কোনো প্রার্থী, কিন্তু তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। যারা সুস্থ, যারা ঘুরেফিরে খাচ্ছেন, যারা কাউন্সিলর হয়েছেন, যারা হোটেলে বসে আমোদ-ফুর্তি করছেন, তারা কেন ই-ব্যালটে ভোট দেবেন? কোনো কোনো প্রার্থী এমন প্রশ্ন তোলার পরও প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এছাড়া চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, সরকারের একজন উপদেষ্টা, আর্থিক খাতের মোড়ল বসুন্ধরা গ্রুপ, বিসিবির সাবেক একজন সভাপতি এসব দুর্নীতিতে জড়িত। এ নির্বাচন ঘিরে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা সিন্ডিকেটের পকেটে গেছে। অন্যদিকে বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের প্রার্থী নির্বাচিত করতে ডামি প্রার্থী দিয়েছে যাতে তাদের কবজায় থাকতে পারে বিসিবি।
এদিকে দুদকের কাছে যিনি এই চিঠি দিয়েছেন, সেই আবদুর রশিদ কে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে চিঠির নিচে নামের সঙ্গে যে ঠিকানা দেওয়া আছে, সেটি গুলশান এভিনিউ-এর।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।

