এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। তাদের এক যুগের অপেক্ষা শেষ হয়েছে এতে। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এবারই কোনো বিশ্ব আসরের শিরোপা জিতলো তারা। এই পথে অনেকগুলো রেকর্ডও সঙ্গী হয়েছে তাদের।
প্রথম দেশ হিসেবে কোনো ম্যাচ না হেরেই বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। কানাডার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়, এর বাইরে বাকি আটটি ম্যাচই জিতেছে তারা। টি-টোয়েন্টি টানা এতগুলো ম্যাচ এর আগে জিততে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া, এবার তাদের ছুয়েছে ভারত; ফাইনাল হারার আগে টানা আট ম্যাচে জয় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকারও।
এখন অবধি হওয়া ৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের আটটিতেই জিতেছে টস জেতা দল। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের কাছে কেবল টস জেতার পরও হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কোনো দল আগে ব্যাট করে বিশ্বকাপ জিতলো। আগের দুটি ছিল ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত ও ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
দুই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা তৃতীয় দল ভারত। এর আগে এমন কীর্তি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের। দুটি বিশ্বকাপ জেতা খেলোয়াড়দের তালিকায় নবম নাম রোহিত শর্মা। এর আগে ড্যারন সামি, মার্লোন স্যামুয়েলস, ক্রিস গেইল, জনসন চার্লস, ডোয়াইন ব্রাভো, স্যামুয়েল ভাদ্রি, আন্দ্রে রাসেল ও দিনেশ রামদিনের এই কীর্তি ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে এটিই কোনো দলের সর্বোচ্চ রান। এতদিন ২০২১ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়ার করা ২ উইকেটে ১৭৩ রান ছিল সর্বোচ্চ। আগে ব্যাট করে ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন হেনরিখ ক্লাসেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুততম এটি।
ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত অর্জনের পাল্লাও ভারি হয়েছে। বিশ্বকাপ জিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট কোহলি, ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে সবমিলিয়ে ১৬বার টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন কোহলি। তার চেয়ে বেশি ম্যাচসেরা হওয়ার কীর্তি নেই কারও, দ্বিতীয় স্থানে আছেন সূর্যকুমার যাদব।
৩৭ বছর ৬০ দিন বয়সে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন রোহিত শর্মা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বুড়ো ও সবমিলিয়ে আইসিসি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় বেশি বয়সী অধিনায়ক তিনি। ৩৯ বছর ১৭২ দিন বয়সে পাকিস্তানকে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন ইমরান খান।
ফাইনালের পর অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন রোহিতও। সবমিলিয়ে ভারতকে ৬২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৯টিতে জিতিয়েছেন দলকে, তার চেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি কেউ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাবর আজমের জয় ৪৮টি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।