বিশ্বকাপের ইতিহাসে বিরল রেকর্ডের মালিক হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রান করার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বআসরের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষস্থানে উঠে আসেন তিনি।
শীর্ষ আসনে উঠে আসতে গিয়ে সাকিব পেছনে ফেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ক্রিস গেইল ও শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সানাথ জয়সুরিয়াকে।
ক্রিস গেইল ২০০৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৫টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ৩০ ম্যাচ খেলে সর্বমোট ১ হাজার ১৮৬ রান এবং ১৬টি উইকেট শিকার করেন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন শ্রীলঙ্কার ‘মাতারা হারিকেন’ খ্যাত সাবেক অধিনায়ক সানাথ জয়সুরিয়ার। তিনি ১৯৯২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত মোট ৫টি আসরে ৩৮ ম্যাচ খেলে সর্বমোট ১ হাজার ১৬৫ রান ও ২৭ উইকেট সংগ্রহ করেন।
সাকিব আল হাসান ২০০৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ৫টি আসরে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩১টি ম্যাচ খেলে ১ হাজার ১৬১ রান ও ৩৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিব ছিলেন দুর্দান্ত। ৮ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফসেঞ্চুরিসহ ৬০৬ রান সংগ্রহ করেন। বল হাতে তুলে নেন ১১ উইকেট। যা তাকে ২০১৯ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী ব্যাটারদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে নিয়ে গিয়েছিল। সেই আসরে ৬৪৮ রান করে ভারতের রোহিত শর্মা শীর্ষ রান সংগ্রহাকদের আসন দখল করেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার করেন ৬৪৭ রান।
বর্তমানে ক্রিকেট খেলছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সাকিব আল হাসানের আশেপাশে আর কেউ নেই। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডারের তালিকার শীর্ষ ৪০ এও নেই কেউ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব ১১৬১ রান নিয়ে খেলতে নামেন। গেইলকে টপকাতে প্রয়োজন ছিল ২৬ রানের আর জয়সুরিয়াকে টপকাতে প্রয়োজন ছিল পাঁচ রানের। সাকিব ২৪ রান করে পর পর তিন বলে দুটি ছয় ও একটি চার মারেন।
শেষ পর্যন্ত সাকিব ৫১ বলে ২ ছয় ও ৩ চারের সাহায্যে ৪০ রান করে লকি ফার্গুসনের বলে লাথামের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন। বর্তমানে বিশ্বকাপের ইতিহাসে শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিবের রান ১২০১ রান ও উইকেট সংখ্যা ৩৮টি। তার এ রেকর্ড যে আরও এগিয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে। কেননা চলতি আসরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আরও ৬টি ম্যাচ খেলবে। সাকিব সুস্থ্য থাকলে সবকটি ম্যাচে মাঠে নামবেন তা বলাই যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।