বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর হিসেবে আছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, এবার তাকে দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার থাকবে না জানলে বিশ্বকাপেই যেতেন না বলে জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ।
যে দলটি সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গেল, সেই দল কিনা সবার আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল। একের পর এক পরাজয়ে ভেস্তে গেছে সেমিফাইনাল খেলার আশা। এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলে এক জয় ও ছয় পরাজয়ে পয়েন্ট টেবিলে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান নবম স্থানে।
এমন নাজুক অবস্থায় দিল্লিতে গণমাধ্যমে হাজির হয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। শুক্রবার সন্ধ্যায় টিম হোটেলের বাইরে সুজন জানান, বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে থাকলেও তার ভূমিকা করে রাখা হয়েছে সীমাবদ্ধ, ‘বিসিবি থেকে আমাকে যে ভূমিকা দেয়া হয়েছে সেটাই করার চেষ্টা করছি। প্রতিটা ট্যুরেই একটা বাড়তি থাকত যে আমি দল নির্বাচনের অংশ থাকতাম, যেটা এবার নেই।’
সব সময় সিদ্ধান্ত নেয়ার ভূমিকায় থাকলেও এবার তেমনটা না হওয়া একদম মানতে পারছেন না তিনি। এমন ভূমিকা উপভোগ করছেন না, সেটাও পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন সুজন, ‘আমি খুশি না, এভাবে তো থাকতেই চাই না। যেহেতু আমার রক্তেই ক্রিকেট। কোচিং করি এটা আমার পেশা। টেকনিক্যাল মানুষ হিসেবে গত যে ট্যুরগুলাতে যে ভূমিকা ছিল। এসব থেকে আমি দূরেই আছি। আমি উপভোগ করছি কি না, অবশ্যই না। একটা ট্যুরে আমি অভিভাবক হিসেবে থাকব, নিয়মশৃঙ্খলা বা অন্য বিষয় দেখব। সেটা তো আমার কাজ না। সেটাও আমি দেখতাম, তবে আমি ক্রিকেট দেখতাম।’
তবে দলের হারের জন্য সব দোষ অধিনায়ক সাকিবকে দিতে নারাজ সুজন, ‘এটা শুধু সাকিবের একার দোষ দিয়ে লাভ নেই। দলে তো সাকিব একা খেলে না, আরও ১০ জন খেলোয়াড় আছে। অধিনায়কের দায়িত্বটা একটু ভিন্ন, কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে তো সবার দায়িত্ব এক। সাকিব যখন ব্যাটিং করে সাকিব তো তখন অধিনায়ক না, তখন সে একজন ব্যাটার। যখন বোলিং করে তখন সে একজন বোলার। দিনশেষে সব ব্যাটার-বোলারকে একই দায়িত্ব নিতে হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।