বিপিএল শুরুর সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, আকাশের সূর্য তত ঘন কুয়াশা এবং মেঘে ঢেকে যাচ্ছে। দুদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। আকাশ দেখে সকাল-সন্ধ্যা বোঝা কঠিন। বিকেল থেকেই শুরু হয় শিশির পড়া। শিশির আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে পুরো বাংলাদেশ।
তীব্র শীত, তার সাথে কনকনে বাতাস এবং ঘন কুয়াশা – এতে করে উইকেট তৈরি ও পরিচর্যার কাজের একদম বৈরি পরিবেশ। সূর্যের দেখা নেই। ভেজা আবহাওয়া, ২৪ ঘণ্টার প্রায় ৭৫ ভাগের বেশি সময় পিচ মোটা কভারে ঢাকা থাকছে। রোদ নেই। তাই পানি দিয়ে পরদিন সকালের রোদে তা শুকানোর পর রোলিং করার কাজটাও ঠিকমত হচ্ছে না।
এক কথায় প্রতিকূল আবহাওয়া। উইকেট তৈরির কাজ মোটেই ভাল মত হচ্ছে না। ধরেই নেয়া যায় আবহাওয়া উন্নত না হলে শীতের তীব্রতা না কমলে, কুয়াশা না কাটলে এবং সূর্য না উঠলে পিচ তৈরির কাজ যথাযথভাবে হবে না এবং উইকেটের আচরণও তেমন ভাল হবে না। এমনিতেই শেরে বাংলার পিচে রান কম ওঠে। আর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি – এই ৩ মাস উইকেট থাকে আরও স্লথ।
তারপরও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর আশা, শেরে বাংলার পিচে এবার রান হবে। আজ শনিবার দুপুরে বিওএ ভবনে বিএসজেএ মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ড্র, ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে উইকেট নিয়ে কথা বলেন প্রধান নির্বাচক নান্নু।
তিনি বলেন, ‘বিপিএলের গত আসরে তিন ভেন্যুতেই উইকেট ভালো ছিল। অনেক রান হয়েছে। আমরা চাই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হোক। মাঠের দায়িত্বে যারা আছেন তারা প্রাণপণ চেষ্টা করেন। এবারও হয়তো ভালো উইকেট হবে।’
কথা প্রসঙ্গে নান্নু আরও জানান, তারা মানে নির্বাচকরা আছেন কিছু ব্যাকআপ পারফরমারের সন্ধানে। তাই তারা এবারের বিপিএলটা পাখির চোখে দেখতে চান। এবং বিপিএল দেখে তারা কিছু ব্যাকআপ পারফরমার খুঁজে বের করতে চান।
প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা, ‘আমরা আগে বিপিএলটা দেখতে চাই। এই বছর অনেক ম্যাচ আছে ব্যাপআপ খেলোয়াড়ের দরকার। বিপিএলের বাইরেও বেশ কিছু সিরিজ রয়েছে। সব মিলে এসব জায়গায় ক্রিকেটারদের দেখার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন প্রতিটি দলেরই টানা খেলা রয়েছে। আমাদেরও সেভাবে চিন্তা করে এগোতে হচ্ছে। ইনজুরির কথা মাথায় রেখেই দলের পরিকল্পনা করতে হয়।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।