ক্রিকেটারদের মতো জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের জন্যও এবারের বিপিএল টি২০ টুর্নামেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে বা জায়গা ধরে রাখতে মাঠে পারফরম্যান্স করতে হবে ক্রিকেটারদের। সেগুলো দেখে সেরা খেলোয়াড়দের বাছাই করার গুরুদায়িত্ব থাকবে নির্বাচকদের পাশাপাশি প্রধান কোচের ওপর। পুরো কোচিং স্টাফকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা গেলে বেশি ভালো হবে বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান।
টুর্নামেন্ট চলাকালে কোচরা মাঠে উপস্থিত থেকে জাতীয় দলের পুলের ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করলে ভালো হবে বলে বিশ্বাস নাজমুল আবেদীন ফাহিমের। টি২০ বিশ্বকাপের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিসিবি থেকে কোচদের এ অ্যাসাইনমেন্ট দিলে ভালো হবে বলে মনে করেন তিনি।
নিউজিল্যান্ড সফর শেষে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও সহকারী কোচ নিক পোথাস ছুটিতে গেছেন। বিপিএল চলাকালে ঢাকায় থাকবেন তারা। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, হাথুরুসিংহের ২০ জানুয়ারি থেকে কাজে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। ছুটি বাড়ালে ফেব্রুয়ারিতেও ফিরতে পারেন তিনি। তবে বোর্ড চায় টুর্নামেন্টের বেশির ভাগ ম্যাচ মাঠে উপস্থিত থেকে দেখেন কোচ। কারণ, টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটারের প্রয়োজন রয়েছে।
বিকেএসপির সাবেক ক্রিকেট পরামর্শক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে, বিশ্বকাপের জন্য দেশের এই (বিপিএল) টুর্নামেন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লম্বা একটা সময় খেলা হবে। টুর্নামেন্টজুড়েই খেলোয়াড়দের টিপস দেওয়ার সুযোগ থাকবে। বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং কোচরাও নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে পারেন। বোর্ড থেকে কোচদের থাকতে বললে ভালো হয়। তারা তখন বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নেবেন। পরামর্শ দিয়ে ক্রিকেটারদের উন্নতিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দল নির্বাচনেও ‘ইনপুট’ দিতে পারবেন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষে হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, ‘টি২০ দল চূড়ান্ত করতে বিপিএল টুর্নামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ।’ কারণ, একই সংস্করণের খেলা হবে লম্বা সময় ধরে। খেলোয়াড়রা নিজেদের ভালোভাবে পরিশীলিত করে নিতে পারেন। বিশেষ করে লক্ষ্য স্থির করে ইমপ্যাক্ট ব্যাটিং বা বোলিং করতে পারেন চেষ্টা থাকলে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।