বিপিএলের কল্যাণে পুরনো শিষ্যদের সঙ্গে পূনর্মিলনী হলো ফরচুন বরিশালের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতে আসা ডেভ হোয়াটমোরের। রোববার একাডেমি মাঠে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে দেখে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন টাইগারদের সাবেক হেড কোচ। এদিকে প্রথমবারের মতো সিলেটের অনুশীলনে ম্যাশের অংশগ্রহণে উজ্জ্বীবিত গতবারের ফাইনালিস্টরা।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্যাম্পে শুরু থেকে না থাকলেও পরিস্থিতি বদলে গেছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার জন্যে। প্রথম ম্যাচে হারের পর দলের সঙ্গে ঘাম ঝরানো শুরু করেছেন। সিলেট ক্যাম্পে তার উপস্থিতিও অনেকটাই চোখে পড়ার মতো ছিল রোববার।
একে তো নির্বাচনী ব্যস্ততা অন্যদিকে লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে থাকা, সিলেটের প্রথম হারে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই অধিনায়কেরও। সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেছেন ম্যাশের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলার সামর্থ্য নিয়েও। তবে বরাবরের মতো সমালোচকদের জবাব দিতে আবারো পুরনো রূপে সিলেট অধিনায়ক। কাপ্তানের উপস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করেছেন সিলেটের ক্রিকেটাররাও।
দলের টপ অর্ডার ব্যাটার জাকির হাসান বলেন, ‘মাশরাফী ভাইয়ের পারফরম্যান্সের চেয়েও দলে থাকাটা আমাদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণার। উনি থাকলে অনেক সিদ্ধান্ত নেয়া আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়।’
প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা কিংবা নিজের পারফরম্যান্স সবকিছু এক মুহুর্তের জন্য মাথা থেকে ঝেরে হুট করে এক চিলতে হাসি মাশরাফীর মুখে। হাসির কারণটা ফরচুন বরিশালের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ডেভ হোয়াটমোর। লম্বা সময় পর সাবেক কোচের সান্নিধ্যে নড়াইল এক্সপ্রেস। হোয়াটমোরের জন্যেও তো এক প্রকার স্মৃতি রোমন্থন। বিপিএলের কল্যাণে পুরনো শিষ্যদের সঙ্গে যেন এক প্রকার পুনর্মিলনী চলছে অস্ট্রেলিয়ান কোচের।
দুজনের আলোচনার বিষয় কী ছিল তা জানা যায়নি। তবে এই লম্বা সময়ে ম্যাশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাপিয়ে রাজনীতি, হোয়াটমোরের ‘পাগলা’ খ্যাত মাশরাফীর বর্তমান অবস্থা দেখে কিছুটা হয়তো চমকেই গেলেন ডেভ। সেটাই তো স্বাভাবিক। ১৭ বছর আগে কৈশোর পেরনো কৌশিকের সঙ্গে বর্তমান মাশরাফীর যে আকাশ-পাতাল অমিল। হয়তো সাবেক শিষ্যের হাঁটুর ইনজুরি নিয়েও আলোচনা সারেন ডেভ।
টাইগার ক্রিকেটে আজকের অবস্থানে আসতে বড় অবদান ডেভ হোয়াটমোরের। ২০০৩ থেকে ২০০৭, ৪ বছর টাইগারদের দায়িত্বে ছিলেন এই কোচ। দেশের ক্রিকেটের বদলে যাওয়া, প্রথম টেস্ট ও টেস্ট সিরিজ জয়, কার্ডিফ কাব্য কিংবা স্বপ্নের ২০০৭ বিশ্বকাপ; সবকিছুই এসেছিল ডেভের হাত ধরে। আজকের সাকিব-তামিম-মুশফিকের পরিণত হওয়ার পেছনেও বড় কৃতিত্ব এই অস্ট্রেলিয়ান কোচের।
বাংলাদেশে কাটানো সে ৪ বছরে তাই অনেক স্মৃতি হোয়াটমোরের। রোববার একাডেমি মাঠে যেন সেসব স্মৃতি রোমন্থন করলেন এই কোচ। খালেদ মাহমুদ সুজন কিংবা মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মতো দেশসেরা কোচরা সময় কাটিয়েছেন ডেভের সান্নিধ্যে। তাদের পুনর্মিলনীতে বিপিএলের উন্মাদনা অনেকটাই আড়ালে পড়ে যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।