বায়ার্ন মিউনিখকে হারাতে না পারলেও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেলো ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে তারা ১-১ গোলে ড্র করেছে বায়ার্নের সঙ্গে। কিন্তু প্রথম লেগে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায়, দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় ম্যানচেস্টার সিটি উঠে গেল চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে। ফাইনালে উঠার পথে তাদেরকে লড়তে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে।
বল দখলে রেখে শুরু থেকেই আক্রমণে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। ১৭ মিনিটে দারুণ এক সুযোগও পেয়ে যান লেরয় সানে। তবে গোলরক্ষক এদেরসনকে একা পেয়েও কোনাকুনি শটে বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
খানিক পরই রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে নাটকীয়তা দেখা দেয়। বল নিয়ে আক্রমণে ওঠা হলান্ডকে পেছন থেকে ফেলে দেন দায়ত উপামেকানো। সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয় তাঁকে। তবে হলান্ড অফসাইডে ছিলেন নিশ্চিত হওয়ার পর এ যাত্রায় বেঁচে যায় বায়ার্ন।
৩৫ মিনিটে আবারও উপামেকানোর কারণে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। গুনদোগানের শট তাঁর হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নষ্ট করেন হলান্ড। সবশেষ ১৫টি পেনাল্টিতে গোল পাওয়া সিটি তারকা বল মেরে দেন বারের ওপর দিয়ে।
প্রথমার্ধের বিরতির আগমুহূর্তে গোলের সুযোগ আসে স্বাগতিকদের সামনে। প্রথমে জামাল মুসিয়ালা শট নেওয়ার মুহূর্তে পিছলে যান, এর পর জটলার ভেতরে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি সানে।
৫৫ মিনিটে বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সোমেরকে একা পেয়ে যান হলান্ড। তবে সোজাসুজি দুর্বল শট নিয়ে এই সুযোগটিও নষ্ট করেন। কিছুক্ষণ পরই অবশ্য ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করেন তিনি। প্রতি আক্রমণ থেকে বল পেয়ে প্রথমে কেভিন ডি ব্রুইনাকে দেন হলান্ড। ফিরতি বল নিয়ে দ্রুত ছুটে গিয়ে সোমেরকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান।এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি হলান্ডের ১২তম গোল, আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমে ৪৮তম।
দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়া বায়ার্ন সান্ত¦নার গোল পায় ৮৩ মিনিটে। মানুয়েল আকাঞ্জির হ্যান্ডবলের সুবাদে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেন জশুয়া কিমিখ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।