বিশ্ব ফুটবলের শাসক সংস্থা ফিফার দেওয়া টাকার যথাযথ ব্যবহার না করায় এবং জাল হিসাব দাখিলের পর ফিফা নৈতিকতা বিষয়ক কমিটি বাফুফের বেশ কিছু লেনদেন বিশ্লেষণ করে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪ মার্কিন ডলার লেনদেনে আর্থিক অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বেশি।
ফিফার আইন অনুযায়ী, ফেডারেশনগুলোকে প্রদত্ত ফান্ড নির্দিষ্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রান্সফারের মাধ্যমেই ফিফা নির্দেশিত খাতে টাকাগুলো ব্যয় করতে হবে। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ অর্থ তোলা হয়েছে। তাছাড়া ফিফা নির্দেশিত খাতের বাইরে ব্যয় করা হয়েছে। ঘটনা কিন্তু একটুকুই নয়। সেইসব ব্যয়ের প্রমাণ হিসেবে বাফুফে সেসব ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছে, সেগুলো জাল এবং মিথ্যা।
যেমন ২০১৬ সালের কেন্দ্রীয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই বছর ফিফা ফরোয়ার্ড ফান্ডে ৭ লাখ ৮ হাজার ৮২০ ডলার পেয়েছিল বাফুফে। এর মধ্যে মাত্র ৯০ হাজার ১৪ ডলার ফিফা নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট থেকে খরচ করা হয়। নারী ফুটবলে ভ্রমণ ও বেতন বাবদ ১ লাখ ৭ হাজার ৬৩৪ ডলার ব্যয় ধরা হলেও কোনো সহায়ক কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের প্রশাসনিক খরচ বাবদ ৩৫ হাজার ৫৭৩ ডলার খরচের হিসেব ২০১৬ সালেও উল্লেখ করা হয়। যার মানে দাঁড়ায়- এক খরচ দুইবার দেখানো হয়েছে!
এক খরচ দুইবার দেখানোর এখানেই শেষ নয়। বাফুফে দাবি করেছে যে, নগদ টাকায় জাতীয় দলের কোচ ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে ৪৪ হাজার ১০০ ডলার বেতন দেওয়া হয়েছে। আবার বাফুফে এটাও দাবি করছে যে, এই দুজনের বেতন দেওয়া হয়েছে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে! তার মানে এক বেতন দুইবার! বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাবগুলোকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩৫ ডলার ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল। যেটা ফিফা ফরোয়ার্ড নীতিমালার অংশ নয়। তাছাড়া সেই টাকা আদৌ ক্লাবগুলোকে দেওয়া হয়েছে কিনা- তার কোনো প্রমাণ নেই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।