বিসিবির জন্য স্বপ্নের প্রকল্প ছিল পূর্বাচলের স্টেডিয়াম। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নকশাও চূড়ান্ত হয়েছিল। নৌকার আদলে এই মাঠটি হওয়ার কথা ছিল। এই স্টেডিয়ামের বিশাল প্রকল্পের কাজ পাওয়ার জন্য দরপত্রের কাজও অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল।
তবে রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যাওয়ার পর এখন অনুমতিভাবেই হচ্ছে না স্টেডিয়ামটি। বৃহস্পতিবার এই প্রকল্প নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘স্টেডিয়ামের দরপত্রের প্রসেস কালকেই (আজ) শেষ তারিখ ছিল। আমরা বাতিল করেছি। ’
২০৩১ সালে বাংলাদেশের মাটিতে হবে বিশ্বকাপ। ওই টুর্নামেন্টের জন্য স্টেডিয়াম বাড়াতে আইসিসির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিসিবি। এছাড়াও মাঠ এখন জরুরি। এ অবস্থায় পূর্বাচলে কি আর মাঠ হবেই না? এটি জানতে চাওয়া হয় ফারুকের কাছে।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন যে, আমরা এ মুহূর্তে এত বড় প্রজেক্ট এটা কিন্তু মন্ত্রণালয়ের একটা ব্যাপার থাকে…! তাই ওখান থেকে আমরা খুব বেশি হ্যাঁ ও না, না ও না। সময়ও নেই, আগামীকাল (আজ) দরপত্রের শেষ তারিখ ছিল। সেজন্য আমাদের করতে হয়েছে। যদি আমাদের পরিস্থিতি উন্নতি হয় মনে করি, পুনর্বিবেচনা করে কিছু করা যায় কি না। ’
পূর্বাচলের স্টেডিয়ামটি করার জন্য ইতোমধ্যে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে বিসিবিকে। নকশা তৈরিসহ অন্যান্য কাজে এসব টাকা খরচ হয়েছে। এগুলো কি এখন ফিরিয়ে আনা সম্ভব? ফারুক বলছেন, যতটুকু সম্ভব ক্ষতি কমিয়ে আনার চেষ্টা করবেন তারা।
তিনি বলেন, ‘কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে মাঠটা আমরা দেখতে যাচ্ছি সবাই মিলে, চেষ্টা করছি টাকাটা…যতটুক টাকা খরচ হয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি (ক্ষতি কমিয়ে আনতে)। পুরোটা তো আমরা পরিপূর্ণ হবে না। তারপরও ওখান থেকে যদি কিছুটা রিকভারি করতে পারি। ’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।