জেমস অ্যান্ডারসনের স্টাম্প উপড়ে ফেললেন রুবেল হোসেন। এউইন মর্গ্যানের মুখ শুকিয়ে কাঠ। অ্যাডিলেডে ১৫ রানে সেদিন বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় ইংল্যান্ডকে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ওই পরাজয়ের পর খোলনলচে বদলে ফেলা হয় ইংলিশ ক্রিকেট। চার বছর পর পাল্টে যাওয়া ইংল্যান্ড হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, অধিনায়ক হিসেবে হাতে তোলেন ট্রফি। সেই ব্যর্থতা থেকে শীর্ষ সাফল্যের পথ তৈরি হলেও ওই ম্যাচের হাইলাইটস কখনও দেখেননি মর্গ্যান।
বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড যখনই মুখোমুখি হয়, স্বাভাবিকভাবে বিশ্বকাপ ম্যাচটি নিয়ে চর্চা হয়। যদিও গত আসরে বাংলাদেশ পাত্তাই পায়নি ইংলিশদের কাছে। মঙ্গলবার ধর্মশালায় আরেকবার দুই দল মাঠের লড়াইয়ে নামছে। বাংলাদেশের সেদিনকার বিজয়গাঁথা নিয়ে আবার চলছে আলোচনা। ওই ম্যাচে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক মর্গ্যানকেও শুনতে হলো প্রশ্ন। ম্যাচটির হাইলাইটস দেখেছেন কি না জানতে চাইলে বর্তমান ধারাভাষ্যকারের উত্তর, ‘আমি আসলে কখনও ওই ম্যাচের হাইলাইটস দেখিনি। এটা সবসময় অপ্রত্যাশিতভাবে চলে আসে। নাসের হুসেইন সবসময় মনে করিয়ে দেন। আমার নিজেকে এটা মনে করানোর দরকার হয় না।’
ওই ম্যাচে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল বললেন মর্গ্যান, ‘তারা ভালো দল এবং তাদের বিপক্ষে খেলা কঠিন। ২০১৫ সালে তাদের সিম বোলিং বিভাগে অনেক অভিজ্ঞতা ছিল। অ্যাডিলেডে তারা ভালো খেলেছিল এবং সম্ভবত আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল।’
চলতি বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের খোঁজে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। ৩৭ বছর বয়সী মর্গ্যানের বিশ্বাস, ধর্মশালার কন্ডিশন বাংলাদেশের চেয়ে ইংল্যান্ডকে বেশি সুবিধা দেবে।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তাদের বিপক্ষে খেলা কঠিন, যেখানেই খেলুক না কেন। কিন্তু আমি মনে করি এই কন্ডিশন বাংলাদেশের চেয়ে ইংল্যান্ডের জন্য বেশি মানানসই। আগের দিনের খেলায় দেখতে পেলাম, বল কিছুটা বাউন্স করছে। এটা ইংল্যান্ড সিমারদের সুবিধা দেবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।