ঢাকাSunday , 22 December 2024
  1. online casino
  2. online casino lebanon
  3. philippines online casino
  4. slovenian online casino
  5. world cup cricket t20
  6. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  7. অ্যাথলেটিক
  8. আইপিএল
  9. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আরচারি
  12. এশিয়া কাপ
  13. এশিয়ান গেমস
  14. এসএ গেমস
  15. কমন ওয়েলথ গেমস

‘বাংলাদেশে তো ইংলিশ ফুটবলের মতো আগ্রাসী খেলা হয় না’

Sahab Uddin
December 22, 2024 10:13 pm
Link Copied!

তিন বছর আগে অনুশীলনে দেরি করে আসার কারণে জাতীয় দলে আর জায়গা হয়নি নাবীব নেওয়াজ জীবনের। এরপর থেকে ব্রাত্যই থেকে গেছেন ৩৪ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। দলের প্রয়োজনে যিনি আবার উইং কিংবা নাম্বার ১০ পজিশনে খেলতে সিদ্ধহস্ত। যদিও আবাহনী লিমিটেডে পরের সময়টুকুও ভালো যায়নি। তবে এবার রহমতগঞ্জে গিয়ে মৌসুমের শুরু থেকে নতুন করে আলো কাড়ছেন বগুড়া থেকে উঠে আসা ফুটবলার। প্রিমিয়ার লিগে চার ম্যাচে ৪ গোল ছাড়াও দলের তিন জয়ে বড় ভূমিকা তার!

এবার কামাল বাবুর অধীনে রহমতগঞ্জ দারুণ খেলছে। ৯ পয়েন্ট নিয়ে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর মতো দলকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। জীবন দলের জয়ে অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পেরে খুশি। স্বভাবসুলভ কথাই বললেন কাছে, ‘আবাহনীতে থাকতে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। এবার রহমতগঞ্জে এসেছি চ্যালেঞ্জ নিয়ে। শুরুতে চার গোল পেয়েছি। ভালো লাগছে অনেক।’

তবে গোল পাওয়ার পেছনে নিয়মিত খেলার সুযোগটাকে বড় করে দেখছেন জীবন, ‘দেখুন আগের দুই মৌসুমে আমি আবাহনীতে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাইনি। বেশিরভাগ সময় বসে থাকতে হয়েছে। এবার কিন্তু তা হয়নি। একাদশে থেকে বেশির ভাগ ম্যাচ খেলছি। আরও অভিজ্ঞ হয়েছি। গোলও পাচ্ছি।’

তিন বছর পর নিজেকে স্বমহিমায় দেখতে পেয়ে জীবন যেমন খুশি, তেমনই স্বপ্ন দেখেন আবারও জাতীয় দলে খেলার। তবে পথটা যে কঠিন তা জানেন, ‘জাতীয় দলে কে না খেলতে চায় বলুন। তবে এই কোচের অধীনে আমাকে ডাকা হবে কিনা জানি না। আমি তো নিজে ফিট। খেলে যাচ্ছি। সামনে অনেক খেলা আছে। সেখানে নিজের পারফরম্যান্স আরও দেখিয়ে যাবো। যদি ডাক পাই তাহলে লাল-সবুজ জার্সি আবারও পরার ইচ্ছে আছে।’

কাবরেরা সাধারণত তারুণ্যনির্ভর দল গড়েন। শুধু তাই নয়, রানিং-স্পিরিটের সঙ্গে ফিটনেসও ভালো থাকতে হয়। ৩৪ বছর বয়সে জীবন এই কোচের সঙ্গে কতটুকু মানিয়ে নিতে পারবেন সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। এছাড়া শুরুর দিকে দুটি ম্যাচে কাবরেরার অধীনে জীবন দলে ছিলেন।

জীবন আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে তো ইংলিশ ফুটবলের মতো আগ্রাসী খেলা হয় না। দ্রুত উপরে ওঠার সঙ্গে নিচেও নামতে হবে। সেই লেভেলে তো আমরা নেই। এছাড়া সেখানকার মতো তেমন ফিটনেস বা গতি লাগবে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে অন্যরা যেভাবে খেলে, আমিও সেভাবে খেলি। সেই ফিটনেস রয়েছে। ৯০ মিনিট খেলার মতোই। এছাড়া জাতীয় দলে স্ট্রাইকার সংকট। আমি তো স্ট্রাইকার ছাড়াও উইং ও নাম্বার ১০ পজিশনে খেলতে পারি। তবে যাই বলেন না কেন, আমাকে ডাকবে কিনা জানি না। আমি ঘরোয়া ফুটবলে পারফরম্যান্স করেই যাবো।’

২০১৮-১৯ মৌসুমে ১৭ গোল করে স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন জীবন। এবারও সেদিকে দৃষ্টি। এরই মাঝে কাবরেরা কী করবেন, তা সময় বলে দেবে। এছাড়া পরের মৌসুমে পারফরম্যান্স দেখিয়ে আবার প্রিয় আবাহনীতে ফেরার স্বপ্ন তো আছেই।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।