ম্যাচের আগে পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল অ্যান্টিগায় আজ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আর তাতে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যেকার সুপার এইটের ম্যাচ ভেসে গেলেও খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। কিন্তু টস গড়ানোর পর থেকে বাতাস আর রোদই দেখা গেল আটলান্টিক পাড়ের স্টেডিয়ামে। আর যে ঝড়টা উঠেছিল, সেটা মূলত ভারতীয় ব্যাটারদের হাতে গড়া।
চার-ছয়ের পসরা সাজিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯৭ রানের বিশাল এক টার্গেট দাঁড় করিয়েছে ভারত। কখনো রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলি, কখনো রিশাভ পান্ত, কখনোবা শিভাম দুবে। টাইগারদের ওপর চড়াও হতে ছাড়েননি কোনো ব্যাটারই। ২০ ওভারে তারা আদায় করেছেন ১৩ ছক্কা এবং ১২ চার। তাতেই নির্ধারিত ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৯৬ রান।
বাংলাদেশ এদিন নেমেছিল সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদকে বাদ রেখে। তার বদলে যুক্ত হয়েছিলেন ব্যাট জাকের আলী অনিক। এক বোলার কম নিয়ে খেলার সিদ্ধান্তটা আপাতত বুমেরাং হয়েই এসেছে বাংলাদেশের জন্য। তানজিম সাকিব এবং শেখ মাহেদি হাসান ছাড়া বাকিরা সকলেই ছিলেন খরুচে। শেষ বলে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারতের আজকের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই।
রুটা করেছিলেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। শুরুতেই সাকিব আল হাসানকে টার্গেট করে খেলেছিলেন দুজনে। কাজেও এসেছিল। কিন্তু সাকিবও পালটা আঘাত করেছিলেন। নিজের প্রথম ওভারে ১৫ রান দেয়ার পর দ্বিতীয় ওভার করতে এসেও শুরুতে হজম করেছেন এক ছয় এবং এক চার। এরপরই কিছুটা লেন্থ কমিয়ে বল করেছেন রোহিতকে। মিড অফে ক্যাচ দেন ভারতীয় অধিনায়ক। তাতে প্রথম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট পূরণ করেন সাকিব ।
তানজিমকে সামনে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে গেছেন কোহলি। কিছুটা ধীরগতির ওই বলেই থেমেছে রানে ফেরা কোহলির আজকের ইনিংস। ২৮ বলে ৩৭ রান করেছেন। দলকে বড় রানের ভিতটাও গড়ে দিয়েছেন। নবম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পাওয়া বাংলাদেশকে পরের উইকেট পেতে অপেক্ষা করতে হলো কেবল দুই বল।
প্রথম বলেই হুক করে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। পরের বলে কট বিহাইন্ড! শর্ট লেংথের বলে আউটসাইড এজ হওয়া বল চলে যায় লিটনের হাতে। কিছুটা নীরব ছিল বাংলাদেশের সবাই। কেবল আত্মবিশ্বাসী ছিলেন লিটন। আম্পায়ার সংকেত দিতেই উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ। এরপর মুস্তাফিজের ওভারে ১৪ আর রিশাদের ওভারে ১৩ রান এলে ভারতের স্কোর রীতিমত হাতের বাইরে যেতে থাকে।
যদিও ১৩ রান খরচের সেই ওভারেই রিশাদ পেয়েছিলেন পান্তের উইকেট। ১২ ওভার শেষে রান ৪ উইকেটে ১১০। নাজমুল শান্ত এরপর প্রতি ওভারেই বলার পরিবর্তন করেছেন। বলাই বাহুল্য সেটা কাজেই আসেনি কোনোক্রমে। মাঝের ৮ ওভারে ভারত নিয়েছে ৮১ রান। আর শেষের ৪ ওভারে তাদের ঝুলিতে জমা হয় ৬২ রান।
শিভাম দুবে ও হার্দিক পান্ডিয়ার ৩৪ বলে ৫৩ রানের জুটিই শেষ পর্যন্ত ভারতকে এগিয়ে নেয়। রিশাদ দুবেকে ফিরিয়ে দিলেও আজ ছিলেন খরুচে। মুস্তাফিজ নিজের চার ওভারে দিয়েছেন ৪৮ রান। সাকিবের ৩ ওভারে আসে ৩৭ রান। দুই উইকেট পাওয়া তানজিম সাকিব ছিলেন ইকোনমিক্যাল। দুই উইকেট পেতে খরচ করেছেন ৩২ রান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।