দেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের হেড কোচ হচ্ছেন, বড় দলগুলোতে এমন ঘটনা দেখা যায় অহরহই। ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কাও বিদেশি ক্রিস সিলভারউডের পর হেড কোচ বানিয়েছে স্বদেশি কিংবদন্তি সনাথ জয়সুরিয়াকে।
স্বদেশি কোচরা নিজেদের পরিচিত পরিবেশে ভালো করছেন অনেক দেশেই। বাংলাদেশও কি সেই পথে হাঁটবে? এরই মধ্যে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পর মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মতো কোচদের কাজে লাগানোর দাবি তুলেছেন অনেকে।
তবে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল মনে করেন না, এখনই দেশের কাউকে জাতীয় দলের হেড কোচ করার মতো পরিস্থিতি হয়েছে।
ভারতের ‘স্পোর্টস্টার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘আমি মনে করি না, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কেউ হেড কোচ হওয়ার মতো যোগ্য। এখন দুই-তিনজন আছেন, যারা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু তাদের কাউকে হেড কোচের দায়িত্বে মানাবে বলে আমার মনে হয় না।’
তবে তামিম মনে করেন, দেশি কোচদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তার কথা, ‘বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশি ও তার সঙ্গে বড়জোর আরও দুজন বিদেশি কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নিয়োগ করা উচিত। তাতে স্থানীয় কোচদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এবং একদিন তারা প্রধান কোচ হতে পারবেন।’
হাথুরুসিংহের পর নতুন কোচ কে হতে পারেন? এমন জল্পনা চলছে অনেক দিন ধরেই। তামিমের মত কী? এই ব্যাপারে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের মন্তব্য, ‘বাংলাদেশের বড় নামের পেছনে ছোটা বন্ধ করা উচিত। কারণ বিখ্যাত সবাই দলের জন্য ভালো কোচ হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কারা মানানসই, সেটা তাদের (বিসিবি) খুঁজে বের করতে হবে। সেই ব্যক্তিকে কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি দলে কিছু যোগ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।