ওয়ানডে সিরিজে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাইয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। তাই আজকের ম্যাচটি টাইগ্রেসদের জন্য মান বাঁচানোর লড়াই। অন্যদিকে সিরিজ নিশ্চিত করা আইরিশ মেয়েরা ফুরফুরে মেজাজে মাঠে নেমেছে। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানের স্বল্প পুঁজি পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। তাতে তিন ম্যাচ সিরিজে ৩-০ জিতে টাইগ্রেসদের হোয়াইটওয়াশ করল আইরিশরা।
বাংলাদেশের দেওয়া ১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আইরিশরা স্কোরবোর্ডে বিনা উইকেটে ৫৫ রান তুলে নেয়। এরপর দ্রুত তিন ব্যাটার ফিরলে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৬৪ রান। ২৮ রান করা হান্টারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা।
এরপর ২১ রান করা লুইসের উইকেট শিকার করেন রাবেয়া খান। রানের খাতা না খুলেই বিদায় নেন লিয়া পল। তিনি মুর্শিদা খাতুনের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন। রাবেয়া খানের বলে ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট ব্যক্তিগত ১১ রানে নাহিদা আক্তারের তালুবন্দি হন। দলীয় রান একশ পেরোনোর পর ১৯ রান করা রেবেকা স্টোকেলকে বোল্ড করে ম্যাচ জমান নাহিদা।
শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের হয়ের জন্য দরকার ছিল ১৫ রান। স্বর্ণা আক্তারের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক জ্যোতি। প্রথম বলে এক রান এলেও আর্লিন কেলির রান আউটে জয়ের সুবাস পায় বাঘিনীরা। পরের বলে দুই রান নেন ডেলানি। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ডেলানি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন। লরা ডেলানি ৩১ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ ওভারেই ৩৩ রান তুলে ফেলে। তবে থিতু হয়ে বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মুরশিদার উইকেট হারায় টাইগ্রেসরা। প্রেন্ডারগাস্ট হাতে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে মুর্শিদার ব্যাটে আসে ১২ রান।
তবে ওয়ান ডাউনে নামা শারমিনের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন সোবহানা। মাত্র ৫৮ বলে ৭১ রান যোগ করে এই জুটি। ফলে বাংলাদেশ বড় স্কোরের সুবাস পাচ্ছিল। কিন্তু শারমিনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৩৩ বলে ৪ চারে ৩৪ রান করে ম্যাগুয়েরের শিকারে পরিণত হন শারমিন।
শারমিনের বিদায়ের পর সোবহানাও আর বেশিক্ষণ টেকেননি। পরের ওভারে বল হাতে ফিরেই সোবহানাকে ফেরান ম্যাগুয়ের। ৪৩ বলে ৬ চারে ৪৫ রান করেন এই ওপেনার। এরপর দুই অঙ্কের ঘরে আর কোন ব্যাটার পৌঁছতে পারেনি। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১২৩ রান করে টাইগ্রেসরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।