ঢাকা আর সিলেট মিলিয়ে ৪টি ম্যাচ খেলেছে ফরচুন বরিশাল। যেখানে মাত্র ১টি জয় এসেছে। সেটিও আবার প্রথম ম্যাচ থেকে। পরপর ৩ ম্যাচে হেরে দলটির হ্যাটট্রিক হার পূর্ণ হলো। এভাবে হারের পেছনে বোলারদের দায় দেখছেন বরিশালের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ম্যাচটিত আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান বরে চট্টগ্রাম। জবাবে ১০ রান বাকি থাকতে শেষ হয় বরিশালের ইনিংস।
এর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ও খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছিল বরিশাল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়েছিল তামিম ইকবালের দল। এরপরে আর জ্বলে ওঠা হয়নি দেশীয় তারকায় ভরা দলটির।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে শেষ ৫ ওভারে ৬৪ রান দিয়েছেন বরিশালের তিন বোলার আব্বাস আফ্রিদি, ইয়ানিক ক্যারিয়াহ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। মিরাজের মতে ম্যাচটিতে সেখানেই পিছিয়ে পড়েছে বরিশাল। ম্যাচ শেষে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমরা ভালো বোলিং করিনি। শেষ ৫ ওভারে আমরা একটু বেশি রান দিয়ে ফেলেছি। এই কারণে ম্যাচটি কঠিন হয়ে গেছে।’
বরিশালে তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন তাদের পাওয়ার হিটিং ব্যাটিংয়ের অভাবে ম্যাচ হারছে ফরচুন বাহিনী। তবে এই অভিযোগের সঙ্গে একমত নন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘পাওয়ার হিটিং না। আসলে আমরা পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য হেরে যাচ্ছি না। আমরা বোলাররা ঠিকভাবে কাজটা শেষ করতে পারছি না। ব্যাটসম্যানরা ভালো করছেন। মুশফিক ভাই আগের দুটি ম্যাচে ফিফটি করেছেন। ওপরের দিকে সৌম্য সরকারও ছোট ছোট কন্ট্রিবিউট করছে, তামিম ভাইও ভালো খেলছেন।’
মিরাজ আরও বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি খেলায় বোলাররা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শেষ ৫ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে ম্যাচগুলো হেরেছি সেগুলোতে রান দিয়েই হেরেছি। আমরা ব্যাটসম্যানের দোষের জন্য হারিনি। শেষের দিকে তো প্রতি বলে চার-ছক্কা মারার জন্য হিট করবে ব্যাটসম্যানরা। সেখানে আউট হতে পারে চার বা ছয়ও হতে পারে। ওখানে আমরা বোলাররা কীভাবে নিজেদের কাজটা করছি সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
চার ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচ হেরেও হতাশ নন মিরাজ। তিনি পরের ম্যাচগুলো ভালো করে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘এখনও আমাদের টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের সুযোগ রয়েছে। ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ জিততে পারলে আমাদের জন্য সহজ হবে প্রক্রিয়াটা।’
এখনও বরিশালের আরও ৮টি ম্যাচ বাকি রয়েছে। বরিশালের পঞ্চম ম্যাচটি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। মাঝে প্রায় তিনদিন নিজেদের প্রস্তুত করার সময় পাবে মিজানুর রহমান বাবুলের শিষ্যরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।