আর্থিক বিষয়ে অসত্য তথ্য প্রদানের অভিযোগে গতকাল শুক্রবার সোহাগকে দুই বছরের জন্য ফুটবলসংক্রান্ত সমস্ত কার্যকলাপ থেকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। এবং ১২ লাখ টাকা জরিমানাও করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। এ বিষয়ে আজ শনিবার চরম হতাশা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
বাফুফের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যম সব সময় সোচ্চার ছিল। আর বিপদে পড়লে কাজী সালাউদ্দিন সব সময়ই গণমাধ্যমের ওপর দোষ চাপিয়ে দিতেন। তার দাবি ছিল, নেতিবাচক খবরের জন্য ফুটবল ফেডারেশনের ভাবমূর্তি সংকটের মুখে পড়ে। কিছুদিন আগেই বলেছেন, মিডিয়ার কারণে বাফুফে নাকি স্পন্সর খুঁজে পায় না! কিন্তু এ বিষয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের পাশেই দাঁড়ালেন, ‘গণমাধ্যমের রিপোর্টই প্রকৃত অর্থে সত্য হলো। আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যম সব সময় সোচ্চার ছিল।’
সোহাগের ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। এ প্রসঙ্গে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সরকার এবার ফেডারেশনটির ওপর কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না? জবাবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হস্তক্ষেপের কারণে যদি আরো বড় ক্ষতি হয়, সেটা আমরা কেউই চাই না। ফিফা যদি অনুরোধ করে, তাহলে অবশ্যই অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেব। তবে ফুটবলের ওপর আমরা কোনোভাবেই অযাচিত হস্তক্ষেপ করব না।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।