ঘরোয়া ফুটবল থেকে কয়েকটি ক্লাবের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বড় ধরনের শঙ্কায় দেশের ফুটবলাররা। পুরো মৌসুম পড়ে আছে সামনে। মাঠের খেলা, পারফরম্যান্স, জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়ার সুযোগ এবং পুরো মৌসুম অর্থাৎ এক বছরের পারিশ্রমিক! মাঠের বাইরে থাকলে শুধু এই মৌসুম নয়, খেলার মধ্যে না থাকা ফুটবলারদের আগামী মৌসুমে কোনো ক্লাব নিতে চাইবে কি না, সেটাও বড় ঝুঁকি! অর্থাৎ ফুটবল থেকেই ফুটবলারদের ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা! এরই মধ্যে অবশ্য ক্লাবগুলোকে মাঠে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে ফুটবল ফেডারেশন, ক্লাবগুলোও চেষ্টা করছে দল গড়ার। তবে সময়টা কম, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ২২ আগস্টের মধ্যে।
ফুটবলারদের ক্লাব সংকট কাটাতে বিভিন্ন উদ্যোগের তথ্যও উঠে আসতে শুরু করেছে। গত কদিনে অন্তত ৪ ফুটবলারকে দলে ভিড়িয়েছে ফরটিস এফসি, যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে অন্য ক্লাবের হয়ে খেলা শুরুর অপেক্ষায় ছিলেন কিন্তু সেসব ক্লাব এখন না খেলার দোলাচলে!
ফুটবলারদের ক্লাব নিশ্চিত করতে দল গুছিয়ে নেয়ার পরও নতুন করে সাধ্য মতো খেলোয়াড় দলে ভেড়াচ্ছে ফরটিস।
ক্লাবটির সভাপতি শাহিন হাসান জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি যদি এভাবে চলমান থাকে তাহলে অনেক ফুটবলারকে দল ছাড়া থাকতে হবে, যা ফুটবল এবং ফুটবলার উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা দল গুছিয়ে নেয়ার পরও সম্প্রতি কয়েকজনকে নতুন করে দলে নিয়েছি। যেন সংকটের সময়ে ফুটবলারদের পাশে থাকতে পারি। সবাইকে নেয়া সম্ভব নয় বা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ আমাদের বাজেট, আবাসন, ফুড, অনুশীলন সুবিধা সব দিকে নজর রেখে এগোতে হচ্ছে। তবে আমরা ফুটবলারদের জন্য সাধ্য মতো চেষ্টা করছি।’
এবার ফরটিস এফসি’র দল গড়ায় কোনো দোলাচল আছে কি না, সে প্রশ্নে শাহিন হাসান জানিয়েছেন, ‘আমরা খেলব। না খেলার কথা কখনও আমরা বলিনি। ক্লাবে হামলার পরও আমাদের মনোবল ভাঙেনি।’
অন্য ক্লাবগুলোতেও মনোবল সঞ্চার হলে দেশের ফুটবল এবং ফুটবলারদের রক্ষায় শিগগির ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।